আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সময় যত গড়াচ্ছে, বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম তত কমছে। গত মঙ্গলবারও (১৬ আগস্ট) জ্বালানি পণ্যটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে। গত ৮ মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন দরপতন।
ইয়াহু নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম কমেছে ৩ শতাংশ। প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ৮৬ ডলার ৫৩ সেন্টে। গত ২৫ জানুয়ারির পর যা সর্বনিম্ন। ওই সময় ব্যারেলপ্রতি এ তেল বিক্রি হয় ৮৫ ডলার ৬০ সেন্টে।
একই দিনে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রড ফিউচার্সের মূল্য হ্রাস পেয়েছে ২ শতাংশ। প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে প্রায় ৯২ ডলারে।
সম্প্রতি অর্থনীতির ডেটা প্রকাশ করেছে চীন। তাতে দেখা গেছে, দেশটির প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে বৈশ্বির অর্থনেতিক মন্দার শঙ্কার কালো মেঘ আরও ঘনীভূত হয়েছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা উঁকি মারছে। মূলত এ দুই কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দর পড়ছে।
সম্প্রতি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে লেখা এক বিবৃতিতে লিপৌ অয়েল অ্যাসোসিয়েটসের অ্যান্ডি লিপৌ বলেন, যদি ইরান চুক্তিতে পৌঁছে যায়, তাহলে তেলের বাজারে এর প্রভাব পড়বে নিশ্চিত। রাশিয়াতেও যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিশ্ববাজারে তেলের দরপতন হচ্ছে। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মন্দা এবং চীনে লকডাইনের কারণে জ্বালানির দাম কমছে।
লিপৌ বলেন, চীনের ধীর অর্থনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন তেলের বাজার। গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে ২০২২ সালের জুলাইয়ে ১০ শতাংশ কম তেল আমদানি করেছে দেশটি।
এরই মধ্যে রাশিয়ার তেলের মূল্যসীমা নির্ধারণ করার পরিকল্পনা করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। এটি বাস্তবায়িত হলে রুশ তেল রপ্তানিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আবার আলোচিত পরমাণু চুক্তি কার্যকর হলে ইরানে তেল উৎপাদন বাড়বে। ফলে দাম এমনিতেই কমবে।
Leave a Reply