বুলবুল হাসান, বেড়া পাবনা প্রতিনিধি:
সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বছর আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এদিনে এক যুগ-সন্ধিক্ষণে আবির্ভূত হিন্দুধর্মের প্রবর্তক ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কংসের কারাগারে বন্দি দেবকী ও বাসুদেবের বেদনাহত ক্রোড়ে জন্ম নিয়েছিলেন।
অত্যাচারী ও দুর্জনের বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয় সাধুজনের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কংসের কারাগারে জন্ম নেন তিনি। শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমনে শ্রীকৃষ্ণ ব্রতী ছিলেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ তাই ভগবানের আসনে অধিষ্ঠিত।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে প্রতি বছর বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নে ১৯ আগস্ট শুক্রবার নতুন ভারেঙ্গা গৌড় ভক্ত সংঘের উদ্যোগে জন্মাষ্টমী পালন করা হয়।
এ সময় পূজা উদযাপন কমিটি একটি র্যালি বের করে র্যালিটি শ্রী বলরামের বাড়ি হইতে নতুন বাজার, নাপিত বাড়ি, সোনাপদ্মা অসিত ঘোষের বাড়ি প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নৃত্যলাল শীল, সহ সভাপতি অনিল শীল কাঞ্চে, সেক্রেটারি শ্রী কৃষ্ণ ঘোষ, সহকারী সেক্রেটারি নীলকমল হালদার, ক্যাশিয়ার নারদ হালদার, সহ ক্যাশিয়ার চিএ হালদার, সহ শিশু কিশোর বৃদ্ধ সনাতন ধর্মাবলম্বী এলাকার গণ্যমান্য পুরোহিত
ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
এ সময় নতুন ভারেঙ্গা গৌড় ভক্ত সংঘের পুরোহিত নৃত্যলাল শীল বলেন ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রোহিণী নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করেন। এই দিনে শ্রী কৃষ্ণের আরাধনা করলে সন্তানপ্রাপ্তি, দীর্ঘায়ু এবং সমৃদ্ধির আশীর্বাদ পাওয়া যায়। শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উদযাপনের মাধ্যমে প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ করা যায়। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশেষ এ দিনটিতে উপবাস, পূজা-অর্চনা ও নামকীর্তনসহ বিভিন্ন আচার-উপাচার পালন করবেন। এছাড়া ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন হবে।