বেরোবি প্রতিনিধি:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের আয়োজনে হিন্দু ধর্মালম্বীর মহাবতার দেবতা শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন "জন্মাষ্টমী" উৎসব যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্নারক মাঠে পূজার মণ্ডপে জন্মাষ্টমীর মূল কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর বেলা ১১ টার দিকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে পূজা মন্ডব প্রাঙ্গণে আসেন।
সাড়ে ১১টায় অর্চনা ও পুষ্পাঞ্জলি প্রদান। এরপর দুপুর ১২ টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে আলোচকগণ জন্মাষ্টমীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরাসহ বাংলাদেশে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। তাঁরা বলেন, আদিকাল থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের যুদ্ধ চলে আসছে।শ্রীকৃষ্ণের জীবনচরিত আমাদেরকে সবসময় ন্যায়ের পথে চলার শিক্ষা দেয়। সনাতন ধর্ম মতে অধর্ম ও দুর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সুজনের রক্ষায় শ্রীকৃষ্ণ যুগে যুগে পৃথিবীতে আগমন করেন। শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময় চারিদিকে অরাজকতা, নিপীড়ণ, অত্যাচার চরম পর্যায়ে ছিল। সেই সময় মানুষের স্বাধীনতা বলে কিছু ছিল না।
উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হাসিবুর রশীদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বিজন মোহন চাকী, ছাত্র উপদেষ্টা নুরুজ্জামান খান , লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহফুজুর রহমান শামীমসহ হিন্দু ধর্মালম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেরোবি সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের সভাপতি লিমন শর্মা ও সাধারণ সম্পাদক দীপা রায় সজ্জা সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তারা বলেন, পৃথিবীতে অনেক ধর্মের আদর্শ আছে। আমরা যদি যেকোনো একটি আদর্শ মেনে চলি, তাহলেই পৃথিবীতে কমে আসবে নৈরাজ্য ও অশুভর দৌরাত্ম্য। হোক সেটা ইসলাম, হিন্দু কিংবা বৌদ্ধ।সকল ধর্মই ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিপক্ষে। তাই বারংবার মনে হয়, ধর্মীয় শিক্ষা জাগ্রত হোক। দূরে যাক জগতের অশুভ। শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী তিথিতে এটাই হোক আদর্শ।
কর্মসূচির অংশে আজকে ছিলো, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা, পুষ্পাঞ্জলি ও আরতি, সমবেত বিশেষ প্রার্থনা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, বেদ ও গীতা পাঠ, আলোচনা সভা সর্বশেষ মহাপ্রসাদ বিতরণ।