মোঃ আবু সাঈদ
সহকারী শিক্ষক (আইসিটি)
আফড়া আইডিয়াল একাডেমী
সাঁথিয়া, পাবনা।
সমন্বয়ক,
বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি।
পাবনা জেলা শাখা।
আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে সকল পণ্যের দাম নির্ধারিত হচ্ছে, শুধু এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনটাই সমন্বয় করা হচ্ছে না। মানে সবকিছুরই মূল্য বাড়ছে, শুধুমাত্র এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষকদের বেতন ভাতা বাড়ছে না।
শিক্ষকগণ না পারছে কিছু বলতে না পারছে সহ্য করতে। সয়াবিন তেল, ডাউল, চাউল, আটা, ডিম,সবজি, মাছ, মাংস ও মসলার দাম উর্ধ্বগতিতে চলছে কিন্তু তাদের বেতন-ভাতা সেই অবস্থায়-ই আছে। অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও নেই। সামাজিক মর্যাদার কথা চিন্তা করে অনেক কথাই বলতে পারে না, সংসারের সম্মিলিত দায়িত্ব পালন করতে হিমসিম খাচ্ছে, ফলে একজন শিক্ষক ক্লাসে মনোযোগী হতে পারছে না। এতে শিক্ষা প্রদান ব্যাহত হচ্ছে।
একজন এমপিওভুক্ত নিম্ন মাধ্যমিক/মাধ্যমিক/উচ্চ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক নতুন যোগদানকালে ১২৫০০ মূল বেতন পান (সরকারি অংশ+বেসরকারি অংশ), বাড়ি ভাড়া ভাতা ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা পান। সেদিক থেকে হিসাব করলে ১২৫০০+১০০০+৫০০ = ১৪০০০ টাকা মাত্র বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন। কিন্তু বেসিক বেতনের ১০% কেটে রাখা হয় ফলে বেসিকরা কম টাকা উত্তোলন করতে পারে। এই শিক্ষক তার পেটের দায়ে না পারে কারো নিকট হাত পাততে, না পারেন অন্য কিছু করতে। তাই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ ই একমাত্র মুক্তি। তাহলে একজন শিক্ষক তার নায্য পাওনা পাবে এবং পেনশন সুবিধার আওতাভুক্ত হবে।
Leave a Reply