নিউজ ডেস্ক :
পূর্ব শত্রুতার জেরে ধরে পাবনার সুজানগর উপজেলার তাতিবন্দে জাহাঙ্গীর আলম (৬৭) নামের এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।এঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের আরেক ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে তাতিবন্দ ইউনিয়নের বনগ্রাম বাজারের ভবানীপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার ভবানীপুর গ্রামের মৃত হাসান খন্দকারের ছেলে। তিনি ২০২১ সালে পাবনা সদর থানা থেকে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন। আহতরা হলেন- নিহত জাহাঙ্গীরের ভাই মতি খন্দকার, একই এলাকার আরফান মোল্লার ছেলে আয়েনউদ্দিন, নজিমউদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহিম। আহত বাকিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
নিহতের ছেলে জুবায়ের খন্দকারের দাবি, হামলাকারীরা চরমপন্থি দলের সদস্য। অবসর গ্রহণের পর এলাকার জুয়া খেলা নিয়ে প্রতিবাদ করে ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। পরে তিনি পেনশনের টাকা দিয়ে নতুন বাড়ি করতে গেলে চরমপন্থিরা চাঁদা দাবি করে। জুয়া খেলা ও চাঁদাবাজি নিয়েই এলাকার চরমপন্থি হিসেবে পরিচিত আশরাফ, জসিম মাস্টার, রাজা, সুমন, সোবহানসহ কয়েকজনের সাথে বিরোধ চলছিল।’
সেই বিরোধের জেরেই সোমবার বেলা ১১টার দিকে তারা একযোগে জাহাঙ্গীর আলম বাড়িতে ট্যাটা, বল্লম, হাসিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলায় জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং মতি খন্দকারসহ অন্তত ১০ আহত হোন। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মতি খন্দকারের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তবে পুলিশ বলছে তাদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ছিল। সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ‘৫ বছর আগে তাদের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত মামলা হয়েছিল। সেই শত্রুতার জের ধরেই আজকের তাদের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। এখানে চরমপন্থির কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’