জাহিদ আহাম্মেদ রাঙ্গাবালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলায় দুই লাখ মানুষের জন্য নেই কোন সাস্থ্য কমপ্লেক্স। সাগর ও নদীবেষ্ঠিত জনপদ রাঙ্গাবালী মানুষের জন্য একমাত্র ভরসা হাতুরে ডাক্তার ও কবিরাজ।
এখানে নেই কোন হাসপাতাল, নেই এম্বুলেন্স, নেই নিয়মিত এমবিবিএস ডাক্তার। ফলে জন সাধারণের ভোগান্তির শেষ নেই।
জনসাধারণ এর দাবি- রাঙ্গাবালী চিকিৎসা ক্ষেত্রের নাজুক অবস্থা, আমাদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি হাসপাতাল নির্মান একান্ত প্রয়োজন।
ভালো চিকিৎসার জন্য স্পিডবোট বা ট্রালারে আগুনমুখা নদী পেরিয়ে ১০ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে যেতে হয় পার্শ্ববর্তী উপজেলা গলাচিপা'তে।
২০১২ সালে ৫ ফেব্রুয়ারিতে উপজেলা প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হলে ও নির্মিত হয়নি উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
তবে ইউনিয়ন সাস্থ্য কমপ্লেক্স থাকলেও নিয়মিত ডাক্তার পাচ্ছেন না জনগণের দাবি,ফলে তাদের একমাত্র ভরসা হাতুরে ডাক্তার ও কবিরাজ। এভাবে ই চলে আসছে যুগ যুগ ধরে রাঙ্গাবালী র চিকিৎসা ব্যবস্থা। সংশ্লিষ্টদের মতে- রাঙ্গাবালী উপজেলা তে ১২ টি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে,এসব ক্লিনিক এ শুধুমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়।
রাঙ্গাবালী উপজেলা সদর ইউনিয়নের উওর কাজির হাওলা গ্রামের আখিঁনুর বেগম (৪০) বলেন-এখানে রাতে থাকেনা এমবিবিএস ডাক্তার, কঠিম মুমূর্ষু পরিস্থিতি তে ও যেতে হয় প্রতামা আগুনমুখা নদী পারি দিয়ে গলাচিপা উপজেলায় নয়তো জেলা শহর পটুয়াখালী তে।মারা জায় গর্ববতী অনেক মা,তাই আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি রাঙ্গাবালী উপজেলা তে একটি হাসপাতাল নির্মান হোক।
জেলার সিভিল সার্জন এস এম কবির হাসান জানান- রাঙ্গাবালী তে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মানের উদ্বেগ নেয়া হয়েছে, পাঁচ একর ভূমি অধিগ্রহণ চলছে,এবং সরকারের তরফ থেকে যেসব অনুদান রয়েছে সেগুলো ডিস্টিভিসন চলমান।