আকাশ আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
নওগাঁর মহাদেবপুরে আত্রাই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে শ্রী আপন কুমার মন্ডল (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের শিবগঞ্জ সুলতানপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের পলাশ চন্দ্র মন্ডলের ছেলে ও শিবগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মহাদেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা আধা ঘন্টার চেষ্টায় তাকে উদ্ধার করেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, সকালে আপন প্রাইভেট পড়ে ফুটবল খেলে। এরপর কয়েকজন বন্ধুর সাথে আত্রাই নদীর শিবগঞ্জ ঘাটে নতুন ব্রিজ নির্মাণের স্থানে গোসল করতে নামে। হঠাৎ সে গভীর পানিতে তলীয়ে যেতে থাকলে তার সঙ্গে থাকা বন্ধুরা তাকে টেনে তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে পানিতে নেমে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়।
উত্তরগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আবু হাসান জানান, ব্রিজ নির্মাণের জন্য নদীতে সাটারিং করে পানির প্রবাহ বন্ধ করে সামান্য অংশ দিয়ে বের হতে দেয়ায় ওইস্থানে প্রচন্ড ¯্রােত ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আপন ওই ¯্রােতে গর্তের নিচে তলীয়ে যায়।
মহাদেবপুর ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ ছয়ফুল ইসলাম জানান, তাকে উদ্ধারের জন্য রাজশাহী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরিদের খবর দেয়া হয়। কিন্তু তারা আসার আগেই মহাদেবপুরের ফায়ার কর্মীরা ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধারে সক্ষম হয়। তার নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন মিডার আশরাফুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, সোহেল খান, আরিফুর রহমান, আজমাইল হোসেন প্রমুখ।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ ঘটনাস্থল থেকে জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর কোন অভিযোগ না থাকায় সৎকারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাকে একনজর দেখার জন্য এলাকার নারী-পুরুষ ভীড় জমান। এর আগেও এর পাশে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলা উত্তোলন করায় নদীতে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। ওই গর্তে পড়ে আরো এক শিশুর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া এই নদীর উজানে মধুবন এলাকায় বালু উত্তোলনের গর্তে পড়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়।