নিউজ ডেস্ক :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় দুই স্কুল শিক্ষার্থীর চুমুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় বিদ্যালয় থেকে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ আগস্ট) রাতে হিরণ পঞ্চপল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক আইডি থেকে একটি বহিষ্কারাদেশ নোটিশ প্রকাশ করা হয়। এতে প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মন্ডলের স্বাক্ষর রয়েছে।
ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ওই দুই শিক্ষার্থীর অনৈতিক কার্যকলাপের জড়িত হওয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ায় বিদ্যালয়ের পরিবেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এই অপরাধে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বিদ্যালয় হতে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। একই সঙ্গে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অন্য সকল শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হলো।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মন্ডল সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই দুই শিক্ষার্থীর চুমুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আমাদের কাছে ছবিটি চলে আসে। তারপর স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। ওই দুই শিক্ষার্থীকে ক্লাসে রেখে ক্লাস করাতে আপত্তি করেন স্কুলের শিক্ষক মন্ডলী। এ নিয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভা ডাকা হয়। সভায় ছাত্রী এটি তার ছবি বলে আমাদের জানান। ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেজুলেশন করে ওই শিক্ষার্থীকে ২২ আগস্ট (সোমবার) সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদেরকে টিসি দেওয়া হয়নি। দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের সাথে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা আলাপ আলোচনা করছেন। তারা সম্মত হয়ে কোনো কিছু জানালে ম্যানেজিং কমিটি বসে তাদের ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ওই দুই শির্ক্ষথীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা তিন চার মাস আগে ঘুরতে যায়। সেখানে তারা তাদের একটি চুমুর ছবি তোলে। সম্প্রতি তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আগে তোলা চুমুর ছবিটি ছেড়ে দেয়। ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। অবশেষে তাদের বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কুল থেকে সময়িক বহিষ্কার করেছে।
সাময়িক বহিষ্কার হওয়া প্রেমিক বলেন, ‘ওই ছাত্রীর সঙ্গে আমার চুমুর ছবিটি আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছাড়িনি। কে বা কারা ছেড়েছে তা আমি জানি না।’
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিক নূর আলম বলেন, ‘দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কারের বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
Leave a Reply