নিউজ ডেস্ক :
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতনের স্বীকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রায় নিয়েছে রোহিঙ্গারা। এবার তাদের যুক্তরাশটে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে কবে নাগাদ এ প্রক্রিয়া চালু হবে তা ক্লিয়ার করেননি তিনি। ২০১৭ সালে আগস্টে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
এই রোহিঙ্গাদের স্বভূমিতে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হলেও এখনো তা কার্যকর হয়নি। আগে থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বহন করছে বাংলাদেশ।
ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার এক বিবৃতিতে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্মিলিত মানবিক সহায়তার অত্যাবশ্যক পদক্ষেপ হিসেবে আমরা বাংলাদেশসহ ওই অঞ্চল থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে কাজ করছি। যাতে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে তাঁদের জীবনকে নতুনভাবে গড়তে পারে। তিনি বলেন, পাঁচ বছর আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বর্বর অভিযান চালায়। সেনাবাহিনীর নির্যাতনে প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় এবং বাংলাদেশে আশ্রয় চায়।
ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে তাদের বসবাসের ঘরসহ অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন ধরণের খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ার কক্সবাজার থেকে তাদের সরিয়ে নিয়ে আসা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় দ্রুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বন্দোবস্ত করার জন্য বলে আসছে বাংলাদেশ। এমনকি পশ্চিম দেশগুলোর মধ্যে কোনো দেশ পারলে যেন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়, সে আহ্বানও জানানো হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে সংকটের পাঁচ বছরের মাথায় প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে কাজ করছে বলে জানালেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
Leave a Reply