আকাশ আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
আউশ ধানের খেত পরিদর্শন করছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। রোববার নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম এলাকায়
আউশ ধানের খেত পরিদর্শন করছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। রোববার নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম
আউশ ধান পুরোদমে বাজারে উঠলে কয়েক দিনের মধ্যে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম এলাকায় আউশ ধানের খেত পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আউশ ধান বাজারে উঠতে শুরু করায় চালের দাম কমতে শুরু করেছে। এ ছাড়া চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে দরিদ্র মানুষের জন্য সরকার খাদ্যবান্ধব এবং ওএমএস কর্মসূচি চালু করেছে। আউশ ধান পুরোদমে বাজারে উঠলে কিছুদিনের মধ্যে চালের দাম সহনীয় মাত্রায় চলে আসবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চলতি বছর আউশ মৌসুমজুড়ে আবহাওয়া ভালো থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় আউশের ফলন ভালো হয়েছে। গত বোরো মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কৃষকেরা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন, সেটা অনেকটা পুষিয়ে নিতে পারবেন।
সরকারের যুগোপযোগী সিদ্ধান্তে কৃষকেরা আউশ উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার কৃষকবান্ধব সরকার। আউশ চাষে সরকার প্রান্তিক কৃষকদের ব্যাপক প্রণোদনা দিয়েছে। কৃষকেরা যে আশা নিয়ে আউশের চাষ করেছিলেন, তাঁদের সেই আশা পূরণ হয়েছে। বাজারে ধানের দামও ভালো আছে। কৃষকেরা ভালো লাভবান হবেন।’
কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চালের যথেষ্ট মজুত আছে। এর মধ্যে আউশ ধানও বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখছি না। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অযথা দাম বাড়িয়ে বেশি মুনাফা লাভের আশায় বাজার অস্থিতিশীল করলে ওই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
নওগাঁর মোকামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি চালের দাম দুই থেকে তিন টাকা কমেছে।