বেরোবি প্রতিনিধিঃ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ব্যাক ডেটে ছুটির আবেদনপত্রে স্বাক্ষর না করায় প্রক্টরকে হুমকি ও ভীতি প্রদর্শন করেন তারই এক সহকর্মী ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মনিরুজ্জামান ।
তার বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণ, ভয়ভীতি ও মামলার হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগ এনেছেন প্রক্টর ও একই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক গোলাম রব্বানী।
অভিযোগ সূত্রে তিনি জানান, 'আজ (২৮/০৮/২০২২) আনুমানিক সকাল ১০টায় উক্ত বিভাগের সহকর্মী সরকারি অধ্যাপক মনিরুজ্জামান তার স্ত্রীসহ আমার বাসায় আসেন। এই সময় তারা একটি আবেদনপত্রে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন । স্বাক্ষর না দিলে মামলা করবেন মর্মে আমাকে হুমকি ও ভীতি প্রদর্শন করেন। এ সময় আমার পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে আমার সহকর্মী ও তার স্ত্রী যে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন তাতে আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যবৃন্দ বিব্রতকর অবস্থায় পরি।'
তিনি আরও বলেন, আমার সহকর্মীর আবেদন পত্রটি তার পিএইচডি এর ডিফেন্স (যা ইতিপূর্বে সংঘটিত হয়েছে) এর জন্য ব্যাক ডেট এ ছুটি সংক্রান্ত ছিল।
এ অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিকার জানিয়ে তিনি প্রশাসনের রেজিস্টার প্রকৌশলী আলমগীর চৌধুরীর কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মনিরুজ্জামান অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, আমি গত মাসের ৩ তারিখে রাজশাহীতে পিএইচডি করার এওয়ার্ড লেটার পাই। লেটারে বিভাগীয় প্রধানের স্বাক্ষরের প্রয়োজন ছিল। তাই এ বিষয়টি আমি ভিসি স্যার ও বিভাগীয় প্রধানকে অবগত করেছিলাম। কিন্তু স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য কমপক্ষে পনেরো দিন ঘুরানোর পর প্রায় দেড় মাস পর বিভাগীয় প্রধানের স্বাক্ষর পাই।
তিনি আরও জানান, আমার পিএইচডি দরকার আমি কেন তার উপর হামলা-মামলা করবো। তিনি আমার উপর যে অভিযোগ প্রশাসনের কাছে দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আলমগীর চৌধুরী বলেন, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক শিক্ষকের একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিষয়টি পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হবে।