মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো,শেরপুর জেলা প্রতিনিধি।
শেরপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী গজনীর অবকাশ ঝিনাইগাতীর উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত। এখানে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটকরা ভ্রমণে আসেন,দেশের প্রায় সব জেলা উপজেলা থেকে।যেন মনে হয়, শেরপুরের পর্যটনের আনন্দে – তুলশী মালার সুগন্ধে। পর্যটকরা যেন হারিয়ে যায় তাদের সপ্নের জগতে।
গজনীর এই পর্যটন কেন্দ্র যেন এদেশের ১৮ কোটি মানুষের মন জয় করেছে। তাই প্রতি বছরে এই পর্যটনে দেখা যায় লাখো জনতার ভীড়। এখানে রয়েছে, মিনি চিরিয়াখানা আছে বাঘ,হরিণ, সজারু, আরও বিভিন্ন জাতের পশুপ্রাণী। ঝুলন্ত ব্রীজ,কেবলকার,সুইমিংপুল,গারো মায়ের প্রতিমা সহ আরও অনেক কিছু।
এক কথায় বলা যাবে, এখানকার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য গুলো পুরো দিনে দেখা কষ্টকর, কারণ এখানকার প্রতিটি দৃশ্য যেন পর্যটকের মন কেড়ে নেয়। তাই সব বয়সের মানুষই এই পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমন সফরে আসেন। ভ্রমন পিয়া সুরা বলেন, ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ে এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখতে পারবে, তারা কখনো বিশ্বাসী করতো না।
এখানে রয়েছে আদিবাসী, গারো পাহাড়, আর তারই সাথে মিশে আছে এই দেশের ১৮ কোটি মানুষের ভালবাসা। আর, আমাদের এই ভালবাসার বন্ধন যেন এভাবেই চিরকাল অটুট থাকে, এর জন্য দিনরাত শ্রম দিয়ে যাচ্ছে পর্যটনের ইজারাদার, ফরিদ, ছানোয়ার, হাছান সহ আরও অনেকে।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, গজনীর প্রবেশ মুখে একটি টোল ঘর না থাকায় চরম বিশৃঙ্খলায় পড়তে হয়। ইজারাদার গন বলেন,অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব কর দেওয়া হয়েছে কিন্তু গজনীর প্রবেশ মুখে একটি টোল ঘর না থাকায়, দর্শনার্থীদের চাপে ঠিক ভাবে টোল আদায় করা যাচ্ছে না, এতে অনেক ক্ষতির আশংকা করছেন ইজারাদারগন। তারা বলেন, একটি টোল ঘর হলে সেখানে সবকিছু নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় থাকবে পাশাপাশি পর্যটনের এরিয়াটাও অনেকটা নিরাপদে থাকবে।
পর্যটনের পরিবেশ নিরাপদ ও সঠিকভাবে টোল আদায়ের লক্ষে, গজনীর প্রবেশ মুখে একটি টোল ঘর নির্মানের দাবি জানান পর্যটনের ইজারাদার গন।
এবিষয়ে শেরপুর জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গজনীর প্রবেশ মুখে একটি টোল ঘর অতি জরুরি। তাই অল্প সময়ের মধ্যে সেখানে একটা টোল ঘর নির্মান করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
Leave a Reply