নিউজ ডেস্ক :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের আহম্মদ শাহ নামে চার বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যা করে মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে সৎ মায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সৎ মা কোহিনুর বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সৎ মায়ের বাড়ি থেকে শিশুটির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত শিশুর নাম আহম্মদ (৩)। সে চাঁদপুর হাজীগঞ্জের রায়চোঁ জিয়ানগর এলাকার হাফেজ শাহ্ মিরানের প্রথম ঘরের সন্তান।
শিশুর বাবা হাফেজ শাহ্ মিরান জানান, কয়েক দিন আগে আমার স্ত্রী কোহিনুর আহম্মদকে নিয়ে তার বাপের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ৭নং দরবেশপুর ইউনিয়নের বাইল্যা চৌমুহনী চকিদার বাড়িতে বেড়াতে যায়। শনিবার (২৭ আগস্ট) আবার আমাদের বাড়িতে ফিরে আসে। ওই দিনই বিকেলে আমাকে জানায়, আহম্মদকে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন আশপাশে অনেক খোঁজা হয়, কিন্তু সন্ধান পাইনি। পরদিন রোববার আমি হাজীগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি। একপর্যায়ে জানতে পারি আমার শশুরবাড়ির ঘরের দরজা-জানালা সব বন্ধ। ঘরে স্থানীয় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তখনই আমার স্ত্রী কোহিনুরকে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। পরে সে স্বীকার করে গত শুক্রবার রাতে আহম্মদকে হত্যা করে তাদের ঘরের মেঝেতে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ রামগঞ্জ থানাকে খবর দেয়। তারা কোহিনুরকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়ি যায়। এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘরের মেঝে খুঁড়ে আহম্মদের মরদেহ উদ্ধার করে।
হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের পর সৎ মা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। পরে রামগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে কোহিনূর বেগমকে হস্তান্তর করা হয়েছে। কোহিনুর বেগম বাইল্যা চৌমুহনী গ্রামের মৃত্যু মোবারক কুট্রির মেয়ে।
এ দিকে পুলিশের লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জের সার্কেল শেখ সাদী বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্ত শেষে বাবার নিকট হস্তান্তর করা হবে। সেই সঙ্গে ঘাতককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।