নড়াইল প্রতিনিধিঃ
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে নড়াইলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক পুলিশ কনষ্টেবল
গাজী মশিউর রহমান। বুধবার বেলা ১১টায় নড়াইল শহরের একটি কমিউনটি সেন্টারে
এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে গাজী মশিউর রহমান বলেন,তিনি মাগুরা পুলিশ সুপারের
কার্যালয়ে কনষ্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।একটি মামলায় জড়ানোর কারণে তিনি
চাকরিচ্যুত হন এবং গত ২০ জুলাই মাগুরার আদালতে হাজিরা দিলে আমাকে
কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গত ২২ আগষ্ট অপরিচিত কতিপয় ব্যক্তি আমার সঙ্গে
দেখা করার জন্য মাগুরা কারাগারে আসেন।
আমি দায়িত্বরত কারারক্ষীর কাছে স্বাক্ষাতকারীদের নাম পরিচয় জানতে
চাই।বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হলে আমি দায়িত্বরত কারারক্ষীদের বলি আমি
আমার আপনজন ছাড়া অপরিচিত কারোর সঙ্গে সাক্ষাত দিব না । পরবর্তীতে
হাইকোর্টের আদেশে আমি জামিন লাভ করি।২৩ আগষ্ট সন্ধ্যার দিকে কারাগার
কর্তৃপক্ষের কাছে আমার জামিননামা পৌঁছায়।জেল থেকে বেরোনোর অফিস সময় শেষ
হয়ে যাওয়ায় আমাকে মুক্তিদানের জন্য ২৪ আগষ্ট কারাগারের কম্পিউটার অফিস
কক্ষে এনে কর্তব্যরত কারারক্ষীগণ আইনীপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
কারাগার থেকে আমি যখন বের হবার জন্য প্রস্তুুতি নেই,তখন মাগুরা জেলা
হিসাব রক্ষণ অফিসের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অডিটর মো: আজমল হোসেন লোকজন নিয়ে
আমাকে অপহরণের চেষ্টা চালায়।আমি নিরাপদে বাড়ি ফিরতে কারা কর্মকর্তাদের
সহযোগিতা চাই।কারা কর্মকর্তাগণ বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে অবগত করার পর এবং
ওইদিন আমাকে আনতে যাওয়া বাইরে অপেক্ষমান অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মো:
আশরাফুল ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে কারাগার এলাকা থেকে আমাকে পুলিশ
নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে আসে।এর আগে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অডিটর মো:
আজমল হোসেন লোকজন নিয়ে সটকে পড়েন। আগামি ১২ সেপ্টেম্বর আমার মামলার আদালতে
দিন ধার্য্য আছে। অডিটর মো: আজমল হোসেন ও তার লোকজনের ভয়ে ধার্য্য ওইদিনে
আদালতে হাজিরা দিতে জীবনের নিরাপত্তহীনতায় ভূগছি। আমার জীবনের নিরাপত্তার
জন্য আইনশৃংখলারক্ষা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অডিটর মো: আজমল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ
করা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে অপহরণের নাটক সাজিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার
চালানো হচ্ছে।পুলিশ বিভাগের কাজ নিয়ে জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে নিয়মিত আসা
যাওয়ার কারণে তার সাথে আমার পরিচয় ঘটে।এর বেশি আর কিছু নয়। সে জেলে গেলে
আমার স্ত্রী সৌজন্যতার খাতিরে তাকে দেখতে কারাগারে গিয়েছিল।তার অপকর্মের
জন্য তাকে অবশ্যই আইনগত শাস্তি পেতে হবে।
উল্লেখ্য সাবেক পুলিশ কনষ্টেবল গাজী মশিউর রহমান নড়াইলের লোহগড়া উপজেলার
ধলইতলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য গাজি সিরাজুল ইসলামের ছেলে।