আকাশ আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
তার কার্যক্রমে সন্তুষ্ট। তার কার্যক্রম দেখে সবাই বলছেন তিনি একজন মানবতার ফেরিওয়ালা। সময় পেলে নিয়মিত যাচ্ছেন এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম গুলির দরিদ্র অসহায় মানুষ গুলিকে দেখতে, তাদের সাথে কথা বলতে। তাদের চাওয়া পাওয়ার কথা শুনে সেগুলো সমস্যার সমাধান করতে। এলাকার রাস্তা ঘাট ঘুরে দেখছেন এবং ব্যবস্থা নিচ্ছেন। পারিবারিক সমস্য মিটাচ্ছেন। এ ব্যাপারে তাকে পরামর্শ ও সহযোগীতা দিয়ে সাথে থাকছেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান কাজীবুল ইসলাম। আর তিনি হলেন নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ্ মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী। উপজেলার নিতপুর বাংগাল পাড়ায় কয়েকটি দরিদ্র পরিবারের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি জানান, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে জনগণের জন্য কাজ করছেন। তার মেয়াদে উপজেলার সকল জনগণের জন্য তিনি কাজ করে যাবেন। এর ফাঁকে তিনি কিছু দরিদ্র অসহায়দের খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্ঠা করছেন। এর অংশ হিসাবে তিনি বংগালপাড়ার কয়েকটি পরিবারের সাথে দেখা করেছেন এবং তাদের সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানান। এভাবে তিনি উপজেলার সকল গ্রামে ঘুরবেন এবং খাদ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি’র দিক নির্দেশনা ও সহযোগীতায় সমস্যা সমাধানের চেষ্ঠা করবেন। ইতো মধ্যে তিনি উপজেলার কয়েকজন বিধবাকে নিজ তহবিল থেকে প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে অনুদান হিসাবে দিচ্ছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা ও খাদ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি’র নির্দেশনায় গৃহহীন পরিবার গুলিকে ঘর দেওয়া হচ্ছে।
এ উপজেলায় কোন গৃহহীন যেন না থাকে সে নিয়েও তিনি কাজ করছেন বলে জানান। তার উপজেলার জনগণ না খেয়ে গৃহহীন থাকবে তা যেন তিনি না দেখেন এ উক্তি করেন। তবে এ উপজেলার উন্নয়নের জন্য সকলের সহযোগীতা চান তিনি। অসহায়দের জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান। চেয়ারম্যানের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় বাংগালপাড়ার তুলা রাশি(৯০), ফিতিয়া(৫৭) ও বাবুল আক্তার রানা জানান, এর আগে কোন চেয়ারম্যানকে এভাবে বাড়ি বাড়ি ঘুরতে তারা দেখিনি। বর্তমান চেয়ারম্যান যেভাবে সহযোগীতা করছেন ভবিষ্যতে এভাবেই কাজ করবেন বলে তারা দোয়া করেন। এছাড়াও কয়েকজন সাধারন জনগণ জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান সময় আমরা উপজেলার জনগণ শান্তিতে আছি। তিনি যে সকল কাজ বাস্তবায়ন করছেন তাতে সকলেই খুশি বলে তারা জানান। আপরদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলায় কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ্ মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী সৎ যোগ্য এবং খুব ভাল মানুষ। একজন অধ্যক্ষ হিসাবে তার কোন অবৈধ কার্যক্রম তারা লক্ষ করছেন না। রাজনীতিতে এরকম জনপ্রতিনিধিরই দরকার বলে তারা মনে করছেন।