নিউজ ডেস্ক :
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার আলটিমেটাম
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি বিএনপিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করা হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে আলটিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘মায়ের কান্না’ শীর্ষক প্রতিবাদী সমাবেশে ও তথ্য চিত্র প্রদর্শনী করা হয়। এসময় সংগঠনের বক্তারা এ আলটিমেটাম দেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, ভাস্কর্য শিল্পী রাশা, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, বিশিষ্ট নাট্য অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসানুল হক মিনু, পূর্ণিমা রাণী শীল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে খুন, গুম, হত্যা করেছিল তাদের তাণ্ডব সম্বন্ধে নতুন প্রজন্মকে আমাদের জানানো উচিত। বর্তমানে বিএনপি-জামায়াত প্রতিটি জেলায় খুন, ঘুম, হত্যা চালিয়ে দেশে একটা অরাজকতা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। ১৯৭৭ সালে ২ অক্টোবরের ঘটনা সঠিকভাবে তদন্ত করে জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি বিএনপিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করা হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশনের অভিমুখে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সমাবেশে অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন আইএসআই কর্মকর্তা। তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। একমাত্র জিয়ার পরিকল্পনায়ই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত খুন, গুম, হত্যা একমাত্র এই জিয়াউর রহমান করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে যাদের হত্যা করেছিলেন জিয়াউর রহমান, তাদের কবর কোথায় তা তাদের স্ত্রী, ছেলে, মেয়েরা আজ পর্যন্ত জানে না।
বিএনপি আজ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে মেনে নিতে পারেনি, বিধায় বিএনপিকে পাকিস্তানে পাঠানোর জন্য তিনি অনুরোধ করেন।
সমাবেশে চার দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো-
১. বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সারাদেশে একযোগে বোমা হামলা, অগ্নিসন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে।
২. ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সামরিক কর্মকর্তা ও সৈনিক হত্যার অপরাধে অবৈধ সামরিক শাসক খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার করতে হবে।
৩. মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আন্দোলনের নামে পুরো দেশে আগুন দিয়ে হাজার হাজার মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অপরাধে বিএনপির রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধসহ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।
৪. জঙ্গিবাদ, অগ্নিসন্ত্রাস, দুর্নীতি, ধর্ষণ ও বোমা হামলার মদতদাতা বিদেশে পলাতক আসামি তারেককে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে হবে।
Leave a Reply