সুমন ইসলাম,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
সংবাদের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় সাংবাদিক জুনাইদ কবিরকে বেধরক পিটিয়েছে এক ইউপি সদস্য ও তার লোকজন।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের কহরপাড়া জহুরা মার্কটে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিক জুনাইদ কবির ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সে জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি।
অভিযুক্ত আরিফ নারগুন ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়াডের ইউপি সদস্য এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি।
সাংবাদিক জুনাইদ কবির বলেন, নারগুন ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়াডে একটি আখক্ষেত কর্তনের ঘটনায় ইউপি সদস্য আরিফের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। সাক্ষাৎকার নেয়া শেষে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য পরিষদের উদ্দেশ্যে রওনা হই। পথে কহরপাড়া জহুরা মার্কটে ইউপি সদস্য আরিফ ও তার লোকজন আমার পথরোধ করে, এরপর লাঠিসোটা দিয়ে বেধরক মারপিট শুরু করে। মারপিটের এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য আরিফ জহুরা মার্কটের একটি দোকান ঘরে আমাকে আটক করে রাখে।
এদিকে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে সংবাদকর্মীর ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিক জুনাইদ কবিরকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁওয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আফরিন বলেন, সাংবাদিক জুনাইদ কবিরের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগ রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে সাংবাদিক জুনাইদ কবিরকে মারপিটের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি করে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব, ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, ঠাকুরগাঁও টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ জেলার সাংবাদিকরা।
ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ বলেন, লেখালেখি করলে বা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলেই সাংবাদিকদের মারপিট, হামলা-মামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। অপরাধীদের কোনো প্রকারই ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না। আমি চাই অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, আজ জাতির বিবেকরা মারপিটের শিকার হচ্ছে। সত্যি এসব ঘটনা দুঃখজনক। সাংবাদিক জুনাইদ কবিরকে মারপিটের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে।
অবিলম্বে সাংবাদিক জুনাইদ কবিরকে মারপিট ও হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আরিফের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোন মারপিটের ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, সাংবাদিক জুনাইদ কবিরকে মারপিট করা হয়েছে বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।