শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের 'শাল্লায় সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ' শিরোনামে একটি সংবাদ গত ১২ আগস্ট বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। সেখানে বাহাড়া ইউপির সুলতানপুর গ্রামের দলিল লেখক আব্দুল গাফফার বলেন সার্ভেয়ার আবুল খায়ের অনেক পাবলিককে মাইরা গেছে। সার্ভেয়ার আবুল খায়ের চোর বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি।
পরে ওইদিনই দলিল লেখক আব্দুল গাফফার তার নিজ ফেসবুকে বিডিসি ক্রাইম বার্তার সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে ছড়িয়ে দেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন সাংবাদিকদের আমি এমন বক্তব্য দিইনি। কোনো পাবলিককেও এমন কথা আমি বলিনি। সাংবাদিকরা এসব ভুয়া তথ্য পায় কোথায়? নিজ ফেসবুক আইডি থেকে এমন গুজব ছড়ায় দলিল লেখক গাফফার।
বিষয়টি বিডিসি ক্রাইম বার্তার প্রতিনিধি প্রীতম দাসের নজরে আসলে চ্যালেঞ্জ করে শাল্লা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন তিনি।
পরে তার বক্তব্য প্রমাণিত হলে ৮সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের কাছে ক্ষমা চান দলিল লেখক গাফফার। পাশাপাশি দলিল লেখক গাফফারের নিজ ফেসবুক আইডি থেকে পুনরায় ক্ষমা চাওয়ার সিদ্ধান্ত দেন গঠিত বোর্ড। মুসলেকা দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্তও মেনে নেন দলিল লেখক গাফফার।
সভায় শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।