নড়াইল প্রতিনিধিঃ
মহাদেব দাস, বাড়ি যশোর জেলার মনিরামপুরে। ভাল জীবন যাপনের আশায় ঔষধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে নড়াইল জেলায় চাকরী করতে আসেন।
চাকরী করতে এসে নড়াইল সদর হাসপাতালের সামনে বিভিন্ন ডাক্তারের চেম্বারে যাতায়াত করতে করতে ঔষধ সম্পর্কে কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে নড়াইলের সবচেয়ে বড় ঔষধের ফ্রি স্যাম্পল বিক্রেতার পরামর্শে নড়াইল সদর হাসপাতালের সামনে কাঠালতলায় চেম্বার নিয়ে শুরু করেন রুগীদেখা।
আর তাকে রুগী ম্যানেজ করে দেওয়ার দায়ীত্ব পরে জেলার শীর্ষ ঔষধের ফ্রি স্যাম্পল ব্যবসায়ী ও নড়াইল সদর হাসপাতালের চিহ্নিত কিছু দালালের উপর।
ডাক্তার নামধারী প্রতারক মহাদেব চেম্বারে বসে ঔষধ লেখেন আর নির্দিষ্ট কিছু ফার্মেসি থেকে সেই ফ্রি স্যাম্পলের ঔষধ বিক্রি করে লাভবান হন এই চক্রে থাকা কিছু সুবিধাবাদী লোক।
এরপর মহাদেবের আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
নড়াইল নার্সিং কলেজ সংলগ্ন চারতলা বাড়ি করেছেন। ব্যাংকে রয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এসব কিছুই হয়েছে প্রকাশ্যে।
একেবারে নড়াইল সদর হাসপাতালের সামনে।
দির্ঘ দিন নড়াইল সদর হাসপাতালের সামনে বসে সাধারন রুগীদের সাথে প্রতারনা করলেও তাকে কখনো জেলে যেতে হয়নি।
কারন তার সাথে রয়েছে কিছু রাঘব বোয়াল, তারা সব সময় তাকে বিপদ আপদ থেকে আগলে রাখেন।
সম্প্রতি মহাদেব দাসের নড়াইল সদর হাসপাতালের চেম্বারে গিয়ে প্রতারনার সত্যতা পেয়ে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হলে আলোচীত সেই শীর্ষ ফ্রি স্যাম্পল ব্যবসায়ী ভূয়া ডাক্তার মহাদেবকে এ যাত্রায় রক্ষাকরার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন বলে জানাগেছে।
নড়াইল সদর হাসপাতালের সামনে কথা হয় অভিজ্ঞ এক চিকিৎসকের সাথে। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মহাদেব ছিল ঔষধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি। ডাক্তারদের চেম্বারে ঘুরতে ঘুরতে সে এখন ডাক্তার হয়েছে।
সে যে কম্পিউটার কম্পোজ প্রেসক্রিপশন দেন সেখানে লক্ষ্য করে দেখবেন কোথাও ডাক্তার লেখা নেই। কারন এম বি বি এস, বিডিএস ডিগ্রীধারী ছাড়া নামের আগে কেউ ডাক্তার লিখতে পারবেনা।আর যে ডি এম এফ কোর্সের কথা সে প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করেছেন সেটাও ভূয়া, কারন বৈধ ডি এম এফ ডিগ্রীধারীদের বি এম ডিসির রেজিষ্ট্রেশন থাকে , যেটা তার নেই।
নড়াইল সদর হাসপাতালের সামনে দিনের পর দিন ভূয়া ডাক্তার মহাদেবের অপচিকিৎসা চললেও কতৃপক্ষ নীরব।
ভূয়া ডাক্তার মহাদেবের বিরুদ্ধে প্রশাসন দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।