নরসিংদী প্রতিনিধি:
দুপুরে নিখোঁজ শিশু সায়মা জাহান। সন্ধ্যায় মিলেছে খোঁজ।তবে যেভাবে পাওয়া গেছে তা আর মেনে নেয়ার মতো নয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বেলাশেষে সন্ধ্যায় ভাড়াটিয়ার ঘর হতে মিলল শিশু সায়মার বস্তাবন্দী লাশ। খবর পেয়ে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। নিহত সায়মা উপজেলার যোশর গ্রামের সারোয়ার জাহানের মেয়ে। শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে সায়মার কানে থাকা স্বর্ণের দূলের লোভে তা চুরি করে ঘটনা ধামাচাপা দিতেই এই হত্যাকান্ড।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যোশর ইউনিয়নের আখড়া মন্দিরের পাশে আজিম উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া হানিফ মিয়ার ঘরের আলমারি থেকে এই বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শিশু সায়মা জাহান মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও ঘরে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এ সময় কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে খেলতে যাওয়া পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া হানিফ মিয়ার শিশুসন্তানকে জিজ্ঞেস করলে সে জানান, সায়মা তাদের ঘরে আছে। এদিকে হানিফের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে আলমারিতে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশু সায়মার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ভাড়াটিয়া হানিফ ও তার স্ত্রী শেলী বেগমকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সায়মার মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত শিশুর স্বজনরা জানান, শিশু সায়মা জাহানের কানে (স্বর্ণ) দুল ছিল। দুল দুটো নিতেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে এ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।পরে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত হানিফ ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে নিহত শিশুর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকায় শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কী কারণে এ ঘটানো হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।