সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
অসহায় মানুষের সেবক, কঠোর পরিশ্রমী সাদা মনের একজন মানুষ লন্ডন প্রবাসী বাউল আব্দুল আজাদ।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের ছোট্র একটি গ্রাম সাদকপুর উচারগাঁ গ্রামে তাঁর জন্ম।
তাঁর পিতা: মৃত হাজী আলী আহমদ, মাতা: প্রতাব বিবি। বাল্যকাল থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে এই মানুষটি। বিদেশে থেকেও দেশের মানুষের জন্য এতো ভালোবাসা বা কয়জনের থাকতে পারে। অসহায় কোনো মানুষ সাহায্যের জন্য আসলে কখনো খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি তিনি। শুধু সাহায্য নয় দাদার স্মৃতি ধরে রেখে কলিম শাহ বাউল সংঘ নামে একটি ক্লাব স্থাপন করেছেন। দাদার নামে একটি মাজারও রয়েছে। দাদা মৃত কলিম শাহ একজন পীর ছিলেন, দাদার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কলিম শাহ বাউল সংঘের উদ্যোগে প্রতি বছর মিলাদ ও উরুছ শরিফ অনুষ্ঠিত হয় । যেখানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। নিজ গ্রামের অসহায় কৃষক, জেলে, কামার,কুমারসহ কেউ কোনো ধরনের সমস্যায় পড়লে তাদের দুসময়ের সঙ্গি হয়ে যান তিনি। ইউনিয়নসহ যেকোনো এলাকার বিয়ে সাদীসহ যেকোনো সামাজিক কর্মকান্ডে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
গেলো ভয়াবহ বন্যা ও মহামারী নভেল করোনা ভাইরাসে অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের পাশে থেকে নগদ অর্থসহ চাল,ডাল, তেল, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সাবান, স্যানেটাজার, মাক্স এছাড়া শিশুদের জন্য দুধ, বিস্কুট, চকলেট, ইত্যাদি বিতরন অব্যাহত রয়েছে।
নিজ গ্রামের এমন কোনো দরিদ্র পরিবার নেই যে পরিবারে তিনি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেননি। তিনি শুরুতে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার এলাকার কাউকে না খেয়ে অভুক্ত থাকতে হবে না। তিনি তার কথা শতভাগ রেখেছেন।
অনেকেই মন্তব্য করেছেন তিনি শুধু এক প্রবাসী নন সবার কাছে এখন একজন প্রকৃত ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’। ভয়াবহ বন্যা ও প্রাণঘাতি করোনার এ বিপদসংকুল মুহূর্তে মৃত্যুকে ‘পরোয়া’ না করে ভয়কে জয় করে এলাকাবাসীর পাশে সার্বক্ষণিক থেকে তাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ‘করোনা’ জয়ে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছেন।
এব্যাপারে লন্ডন প্রবাসী আবুল আজাদের কাজে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি করি সার্বক্ষণিক গরীব অসহায় মানুষদের যাবতীয় খোঁজ খবর এটা কাজ । জনগণের এতো ভালোবাসা আমাকে মুগদ্ধ করেছে, জনগণের খেদমত করতে আমার ভালো লাগে, আমি বন্যা ও করোনার পূর্বেও জনগণের পাশে ছিলাম, এখনো আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো । তিনি আরো বলেন, মানুষের সেবা করা যায়, এ কথাতে আমি বিশ্বাসী না । মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য ।