পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুর জেলাধীন নেছারাবাদ উপজেলার অন্তর্গত সোহাগদল আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ধর্ম) মনিশংকর মন্ডল, ইনডেক্স নং- ২৯৩০২২, এই শিক্ষক মনোরঞ্জন বিদ্যানিকেতনে করণিক পদে ১৬.০১.১৯৯৯ ইং তারিখ যোগদান করেন এবং ২৮.০৪.২০২২ ইং তারিখে চাকরি হইতে অব্যাহতি গ্রহণ করেন যাহার ইনডেক্স নাম্বার সিটি- ২৯৩০২২।
অতঃপর ২৯.০৪.২০২২ ইং তারিখ তিনি এইচএসসি ও স্নাতক ডিগ্রিতে তৃতীয় বিভাগধারী হওয়া সত্বেও তৎকালীন পরিপত্র অনুযায়ী সোহাগদল আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৯.০৪.২০০২ ইং তারিখ যোগদান করেন। তাহার বিগত কর্মস্থল মনোরঞ্জন বিদ্যানিকেতন, ঘোষকাঠি, নাজিরপুর এ করণিক পদে চাকরিরত ইনডেক্স নাম্বার ব্যবহার করে সোহাগদল আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক পদেও একই ইনডেক্স ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করিতেছেন।
যাহা সরকারি বিধি বহির্ভূত। শুধু জাল-জালিয়াতের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎই নয় তার একমাত্র ছেলে সন্তান তূর্য মন্ডল (১৬) কে ভারত পাঠিয়ে দিয়ে লেখাপড়া করাচ্ছেন কিন্তু তিনি তার ছেলে হারিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন।
উক্ত খরচাদি বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে সরকারি অর্থ আয়করে হুন্ডির মাধ্যমে ভারত পাচার করছেন। গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে মনিশংকর মন্ডল বলেন, নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি এখানে সহকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছি, তাছাড়া আমি করনিক পথ থেকে প্রমোশন পেয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করি।
পূর্বে মনোরঞ্জন বিদ্যানিকেতনে করণিক পদে চাকরিরত অবস্থায় এপ্লিকেশন করেছিলাম এখন আমার পদোন্নতি হয়েছে। ইনডেক্স নিয়ে কথা বললে কোন সৎ-উত্তর দিতে পারেননি। তবে মনোরঞ্জন বিদ্যানিকেতনের ইনডেক্স নাম্বারে সিটি-২৯৩০২২ উল্লেখ থাকলেও সোহাগদল আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় যোগদান করার পরে দৈব কারণে সিটি বাদ হয়ে শুধুমাত্র ইনডেক্স নাম্বার- ২৯৩০২২ উল্লেখ করা হয়েছে।
যদি সৃষ্ট পদে পুনরায় নতুন করে নিয়োগ হয় তাহলে নতুন ইনডেক্স হবার কথা বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং প্রধান শিক্ষক বৃন্দ। এই ব্যাপারে তথ্য অধিকার বিধিমালা অনুযায়ী নিজস্ব ফরমেটে (ফরমেট-ক) স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তার নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য গনমধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে দিতে অস্বীকৃতি জানায় সহকারি শিক্ষক মনিশংকর মন্ডল। উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ মোঃ শামসুল আলম বলেন, আমি নিয়োগ প্রাপ্তির সময়ে উক্ত স্কুলে যোগদান করিনি। যোগদান সংক্রান্ত তথ্য চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে তার কোন তথ্য নেই, সব তথ্য মনিশংকর বাবুর কাছে সংরক্ষিত আছে। এ ব্যাপারে মনি শংকর বাবুর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি তার স্বপক্ষে কোন তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
পিরোজপুর সংবাদদাতা