সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ জেলা
তাহিরপুরে সীমান্ত এলাকা ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর প্রকল্প স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মরতুজ আলী ও মকলেসুর রহমানের উপর হামলায় তাহিরপুরের ব্রিহত্তম ছাত্র সংগঠন রিজিওনান কো অপারেশন এসোসিয়ান (RCA) ২৬সে সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা ১১ ঘটিকায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন।
২১সে সেপ্টেম্বর রাত ৮:৩০ ঘটিকায় লাকমা বাজার থেকে
ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর প্রকল্প স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী দুই শিক্ষক
মরতুজ আলী ও মকলেসুর রহমান
বাসায় আসার পথে, উপজেলার ১নং শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা ফুটিয়া গ্রামের মরতুজ আলীর ছেলে উক্ত বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আল- ইদ্রিস (১৮) নামক হামলা করেন।
এবং কাটের রুল দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে, এক পর্যায়ে শিক্ষক চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন জড়ো হই তারপর কিশোর গ্যাং আল ইদ্রিস তার লোকজন নিয়ে পালিয়ে যান।
সহকারী শিক্ষক মরতুজ আলী কে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে একদিন পর তাকে রেফার্ড দেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অপর শিক্ষক মরতুজ আলীকে এলাকার স্থানীয় ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা করানো হয়।
মানববন্ধনটি স্কুল মাঠ থেকে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নীলাদ্রি শহীদ সিরাজ লেক মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধের সামনে অবস্থান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী RCA ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ও সদস্যবৃন্দরা এছাড়াও মানবিক ফাউন্ডেশন শ্রীপুর উত্তর শাখার, ওলামাএকরাম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন, সরকারি প্রধান শিক্ষক মহিবুর রহমান (সারওয়ার),
বক্তব্যের শুরুতে বলেন কিশোর গ্যাং আল-ইদ্রিসকে অতিশীঘ্রই আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আহ্বান জানান, আরো বলেন কিশোর গ্যাং আল- ইদ্রসকে আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমার কোন শিক্ষক ক্লাস রুমে যাবে না এবং
২১সে সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত গ্রেপ্তার না হওয়ায় প্রশাসন নীরবতা পালন করছে বলেন এবং প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বলতেছি অতি শীঘ্রই কিশোর গ্যাং আল- ইদ্রিস ও তার সহযোগী সহ সবাইকে আইনের আওতায় আনা হোক।
আরো বক্তব্য রাখেন,
সহকারী শিক্ষক মৌলানা ফকর উদ্দীন, মুহিবুর রহমান, আঃ লতিব বি এস সি, স্কুল গভনির্ঠ বডির সদস্য এদিব কান্তি এব (দুলাল)
RCA সভাপতি জুয়েল মিয়া ও সহ-সভাপতি জয়নাল আবদীন, সাধারণ সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম,
সহ-সাধারণ সম্পাদক রুবেল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন মিয়া সহ অর্থ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী তমা রানী, একরামুল ইসলাম,শাহিবুর রহমান, মইনুল ইসলাম প্রমুখ।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া দিন চলে এবং তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরো বলেন শিক্ষকের উপর হামলা এবং একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা এঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।