আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়েছে। বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের নির্দেশে মন্ত্রিসভায় আনা রদবদলে তাঁকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এ কথা জানিয়েছে।
যুবরাজকে বিশ্বের সর্বাধিক তেল রপ্তানিকারক দেশটির অঘোষিত শাসকই মনে করা হয়। এই নিয়োগের মধ্য দিয়ে সরকারপ্রধান হিসেবে তাঁর ভূমিকার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হলো।
এমবিএস হিসেবেও পরিচিত সৌদি যুবরাজ। এত দিন তিনি উপ-প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করে আসছিলেন। নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী করা হয়েছে তাঁর ছোট ভাই খালিদ বিন সালমানকে। খালিদ উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
রাজকীয় ফরমানে অন্য জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফায়সাল বিন ফারহান আল-সউদ, অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জাদান এবং বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফাতিহ নিজ নিজ পদে বহাল রয়েছেন।
অতীতে সৌদি আরবে সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিজের কাছে রাখতেন বাদশাহ। ছেলে এমবিএসকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে ধীরে হলেও পোক্তভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তর অব্যাহত রেখেছেন ৮৬ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান।
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ
গতকালের রাজকীয় ফরমানে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়ে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, বাদশাহ রাষ্ট্রপ্রধান থাকছেন। মন্ত্রিসভায় উপস্থিত থাকলে তিনিই সভাপতিত্ব করবেন।
গত মে মাসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন সৌদি বাদশাহ। ওই সময় এক প্রতিবেদনে এসপিএ এ কথা জানিয়েছিল।