বুলবুল হাসান, বেড়া পাবনা : বেড়া
উপজেলার খাল বিল নদীগুলোতে চলছে চায়না জাল ব্যবহারের মহোৎসব! বিকাল হতে রাত অব্দি এ জাল পাতার ধুম পরে যায় রাকসা, বক্তারপুর, নাকালিয়া, মোহনগঞ্জ, কৈটোলা, নেওলাইপাড়ার পাশ দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীতে। এছাড়াও যমুনা নদীর পানি রাস্তার পশ্চিম অংশে প্রবেশ কারায় তারাপুর, কুশিয়ারা, মানিক নগর, নতুন ভারেঙ্গা, হাটুরিয়ার বিভিন্ন মাঠে এ জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখতে পাওয়া যায়। শুধু জেলে নয় প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন চায়না জাল। এ জালের ধোঁকায় পড়ে নিংবংশ হতে চলেছে দেশ থেকে সকল প্রজাতির
মাছ, পোনামাছ, কাঁকড়া, কুঁচিয়া, শামুক, জোক, কচ্ছপ, বিভিন্ন জলজ প্রাণী। নদী ও বিলের সকল প্রান্তে দেখা যায় এই জলজ প্রজাতি ধংসের মরণ ফাঁদ। বিভিন্ন সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হলেও পরর্বতীতে আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে অসাধু কিছু লোকজন।
ভারেঙ্গা একাডেমির সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন জলজ জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে ফেলা এই চায়না দোয়ারি নামক মরণ ফাঁদ নিয়ন্ত্রণে সুশীল সমাজের দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের উত্তরসূরীদের পুষ্টির প্রধান উৎস সংরক্ষণ এবং জীববৈচিত্র্য যাতে বাস্তুসংস্থানের মাধ্যমে জীব কুলকে রক্ষা করা যায় এবং বিশ্বকে বাসযোগ্য রাখার মহান ব্রত নিয়ে প্রশাসন সহ সকল কে এগিয়ে আসতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন চায়না দুয়ারি`তে মাছ শিকার করায় মৎস্য সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। চায়না দোয়ারি ব্যবহারে প্রভাবে ভবিষ্যতে দেশি প্রজাতির মাছ চরম অস্তিত্ব-সংকটে পড়বে। মৎস্য সম্পদ রক্ষা করতে অভিযান চলমান রয়েছে। দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ভবিষ্য প্রজন্মের জন্য চায়না দোয়ারি ব্যবহার বন্ধে সকল কে আহবান জানান ।