পাবনা প্রতিনিধি :
পরকীয়া প্রেমের জেরে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘাতক স্বামী গ্রেফতার করেছে পাবনা জেলা পুলিশের সদস্যরা।
জেলা পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়
ভিকটিম সোনিয়া, পিতা- ইউনুস আলী, থানা-মহেশপুর, জেলা ঝিনাইদহ এর সাথে মো রুবেল আহমেদ, পিতা- জাহের আলী সাং আদমপুর, থানা মহেশপুর এর ৬/৭ বছর পূর্বে বিয়ে হয়।
হামিন (৬) নামে একটি পুত্র সন্তান আছে। দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সংসারে টানাপোড়ন ছিল। অভাব- অনটনের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষে রুবেল সৌদি আরব যায়। এর মধ্যে সোনিয়া পাকশি ইপিজেডে চাকরী ও নিয়ে নেয়। নিয়মিত তাদের মধ্যে ফোনে যোগাযোগ ও হতো।
বেশ কিছুদিন ধরে আবার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। রুবেল সন্দেহ করতে থাকে যে, তার স্ত্রী সোনিয়া নিশ্চয় কোন পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরেছে। সেই ভাবনা থাকেই রুবেল গত ২৮ সেপ্টেম্বর সৌদিআরব থেকে ঢাকায় চলে আসে। এমনকি স্ত্রী সোনিয়া তার ছেলে হামিন সহ তাকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করে ঐদিনই ঈশ্বরদীর বাবু পাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় উঠে।
২৮ তারিখ রাত ৭.৩০ মিঃ থেকে ৮.৩০ টার মধ্যে ভিকটিম সোনিয়ার নং এ একটি অজ্ঞাত নং থেকে কল আসাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে তুমুল ঝগড়া বিবাদ শুরু হলে রান্নাঘরে রাখা হাসুয়া/বটি দিয়ে রুবেল তার স্ত্রীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ছেলে হামিনকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার, পাবনা জনাব আকবর আলী মুনসী মহোদয়ের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মাসুদ আলম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল রোকনুজ্জামান সরকার এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ওসি, ঈশ্বরদী থানা জনাব অরবিন্দ সরকার এবং এসআই সুব্রত ঘোষ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাত্র ২৪ হহন্টার মধ্যে ঝিনাইদহ জেলার মহেষপুর থানা এলাকা হতে আসামী রুবেল কে গ্রেফতার করে এবং তাদের শিশু সন্তান হামিন কে উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে আসামীর দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি উদ্ধার করা হয়।
আসমাী কে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে সে ফৌঃ কাঃ বিধির ১৬৪ ধারয় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।