নিজস্ব সংবাদদাতা :
সাঁথিয়া প্রেসক্লাবে শনিবার দুপুরে পুলিশ স্বামী রাকিবুল ইসলামের নির্যাতনের সুবিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্ত্রী শামচুন্নাহার।
রাকিবুল সাঁথিয়া উপজেলাধীন রুদ্রগাতি গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। ২০১৫ সালে সে বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশে যোগদান করে এবং বর্তমানে সে নরায়ণগঞ্জ কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশে কর্মরত। তার কনস্ট্রেবল নম্বর- ৬১৬।
সাঁথিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত -আঃ হামিদের মেয়ে। শামচুণ্নাহার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৮ সালের ২১ জানুযারী শরিয়াহ অনুযায়ী আমাদের বিবাহ হয়। সুখে শান্তিতে আমরা ঘর সংসার করতে থাকি। আমার গর্ভে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এর পর থেকেই আমার স্বামী টিকটক করার নাম করে অজ্ঞাতনামা একাধিক মহিলার সাথে অবৈধ্য সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে আমি তাকে নিষেধ ও সংশোধনের চেষ্টা করি। ফলশ্রুতিতে আমার যৌতুক লোডী, নেশাগ্রস্ত, চরিত্রহীনস্বামী, শশুড়-শাশুড়ি মিলে আমাকে নির্যাতন করে।
এবং আমার নিকট থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। আমি যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় জোরপুর্বক আমাকে তালক নামায় স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে, এবং নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে আমি অসুস্থ্য হয়ে পরি।
আমার আত্মীয় স্বজন থানা পুলিশের সহযোগিতায় গত ২০/১১/২০২১ইং তারিখে আমার স্বামীর বাড়ী থেকে উদ্ধার করে গুরুত্বর শারিরীক জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে। সুস্থ হয়ে আমি তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করি।
২০জুলাই, ২২ তারিখে জেলা পাবনার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেডের আদালত থেকে আমার স্বামী আমার সাথে বিনা যৌতুকে সংসার করবে মর্মে আদালতে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আদালত থেকে আমাকে তাহার বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়েই রাকিবুল ও আমার শাশুড়ী মিলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।
নির্যাতনের এক পর্যায়ে আমি গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে অবারো সাঁথিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভর্তি হই। গত ২৬ জুলাই ২০২২ইং তারিখে সাঁথিয়া থানায় সাধারণ ডাইরী করি যাহার ডাইরী নং- ১৬৬৩। পরবর্তীতে আমি আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করি। মামলা নং সিয়ার-২০৩/২০২২ তারিখ ৭ আগষ্ট ২০২২।
অদ্যাবধি, সে আমার এবং মেয়ের সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক ও খোঁজ খবর রাখে না।
দিন দিন তার পরকীয়ার মাত্রা বাড়তে থাকে বিভিন্ন নারীর সাথে নোংরা টিকটক ভিডিও বানিয়ে আমাকে দেখিয়ে মানসিক নির্যাতন করে। যার প্রমাণ স্বরুপ ছবি ও ভিডিও আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।
আমি একজন অসহায় বিধবা মায়ের সন্তান হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান আইজিপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কমনা করছি।