বুলবুল হাসান, বেড়া পাবনা :
বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গায় মহাসপ্তমীতে জমে উঠেছে দুর্গাপূজা। এ বছর ইউনিয়নের তিনটি শারদীয় দুর্গাপূজা মন্দিরে ৪ দিন ব্যাপী পূজা অর্চনার আয়োজন করা হয়েছে।৷ মন্দির গুলি সোনাপদ্মা বাবু সমীর কুমার রায় চৌধুরীর কাচারী বাড়ি দূর্গা মন্দির, সোনাপদ্মা পালপাড়া সর্বজনীন মন্দির, ঘোষপাড়া জয় মা দুর্গা মন্দির।
সরেজমিনে দেখা যায় এবারে নান্দনিক সাজসজ্জা ও কড়া নিরপত্তার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। দুষ্টের বিনাশ ও সৃষ্টের পালন করতে বছর ঘুরে আবারো দুর্গতিনাশিনী দশভুজা 'মা দুর্গা’ এসেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে। গতকাল ষষ্ঠি তিথিতে অশ্বমেথ বৃক্ষের পূজার মাধ্যমে আবাহন করা হয় দেবী দুর্গার। ঢাক-ঢোল আর কাঁসার বাদ্যে দেবীর বোধন পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। আজ রবিবার সপ্তমী তিথিতে চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে প্রাণ সঞ্চার করা হবে দেবীর মৃন্ময়ীতে। পরদিন মহা অষ্টমী তিথিতে সনাতনী নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ সকলে মিলে দেবীকে পুষ্পাঞ্জলি দেয়া হবে। এইদিনই হবে সন্ধিপূজা।
মাতৃরূপে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা কল্পনা করে জগজ্জননীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করে হবে ‘কুমারী পূজা'। শাস্ত্রমতে, এদিন পূজিত কুমারী কন্যার নামকরণ করা হয় ‘উমা'। ভক্তদের মতে, এটি একাধারে ঈশ্বরের উপাসনা, মানববন্দনা আর নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। মূলত নারীর সম্মান, মানুষের সম্মান আর ঈশ্বর আরাধনাই কুমারী পূজার অন্তর্নিহিত শিক্ষা। নবমীতে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবীর মহা প্রসাদ বিতরণ করা হবে। সর্বশেষ দশমী তিথিতে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হবে দেবী দুর্গাকে। আর দেবীর এই আগমনকে ঘিরেই ব্যস্ত দেশের পূজা সংশ্লিষ্টরা।
সোনাপদ্মা বাবু সমীর কুমার রায় চৌধুরীর কাচারী বাড়ি দূর্গা মন্দিরের পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু অসিত কুমার ঘোষ বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি এখন শেষ হয়েছে। বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসার পর প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আস্থা, সরকারি অনুদান ও শুভানুধ্যায়ীদের অনুদান নিঃসন্দেহে পূজার সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। নিরপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও আমরা সন্তুষ্ট।