সানজিম মিয়া - রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় সাবানা নামের এক মহিলার যন্ত্রণায় গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তার অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন এলাকাবাসী। তার স্বামীর নাম রশিদুল ইসলাম, পিতাঃ মৃত আবদুল হামিদ।তিনি উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের খামার মোহনা বাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।
সরেজমিন গেলে ওই গ্রামের নাছিমা,রাশেদা,তহমিনা, আলেফজনসহ শতাধিক নারী-পুরুষ জানান, তার স্বামী সাবানার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ঢাকায় পালিয়ে যায় সেই সুযোগে সাবানা বেগম একা একটি ফাঁকা বাড়িতে থেকে বিভিন্ন পুরুষ ছেলেকে নিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড করেন।তার এহেন ব্যভিচারী কর্মকান্ডে আমরা অতিষ্ঠ এবং এলাকার সামাজিক পরিবেশ হুমকির মুখে।
তার এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে কয়েকটি সংসার ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমরা তার হাত থেকে পরিত্রাণ চাই। এলাকাবাসী এ ধরনের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে গেলে ওই মহিলা অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ লোকজনকে হয়রানি করেন।
এর আগে তিনি এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে গঙ্গাচড়া থানায় ও পরে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট গঙ্গাচড়া আমলী আদালত,রংপুর এ শ্লীলতাহানি, নির্যাতনের মামলা করেন।তার মামলা থেকে রেহাই পায়নি তার স্বামী রশিদুল ইসলামও। তাদের বিবাহ নোটারি পাবলিক কার্যালয়, রংপুরে ২৭ জুন ২০২২ কোর্টের মাধ্যমে সম্পন্ন হলেও তিনি রশিদুল ইসলামকে তালাক দিয়ে ফায়দা লুটতে জলঢাকা উপজেলার আঃ হামিদ কাজির স্বাক্ষরে জাল নিকাহনামা তৈরি করেন এবং ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দেনমোহর উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে জলঢাকা উপজেলার বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার কাজি আঃ হামিদ বলেন,তিনি সাবানা ও রশিদুল নামে কোনও বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করেননি।তিনি তাদেরকে চিনেনও না।এই মর্মে তিনি লিখিত প্রত্যায়ন দিয়েছেন।
এর পর ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে তার স্বামীসহ নিরীহ ৫ জনকে আসামি করেন।অভিযোগে তার গচ্ছিত সম্পদ ১০ লক্ষ টাকা ও ৩টি গরু হাতিয়ে নেওয়ার মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছে বলে দাবী এলাকাবাসীর।
এ ব্যাপারে সাবানা বেগমের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা জানতে চাওয়া হলে তিনি উল্টো তার ভাসুর মোসলেম ও কুদ্দুসসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় ব্যাক্তীর নামে নির্যাতনের অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম ঐ মহিলা অনৈতিক কর্মকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেন।কয়েকবার তাকে স্থানীয় বিচার শালিসের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হলেও সংশোধন হয়নি তিনি।ইউপি সদস্য আরও জানান,তার অনৈতিক কর্মকান্ডের কথা গ্রামে জানাজানি হলে রশিদুল ইসলাম, পিতা- আব্দুল হামিদ তালাক দিয়েছিলেন পরে গ্রামবাসী তাদের মধ্যে আপোষ করে দেন।এমনকি ঐ মহিলা রশিদুলের কাছে কৌশলে ১২ শতাংশ জমি নিজ নামে দলিল করে নেয়।