আকাশ আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দায় রাতের বেলা প্রার্থীদের না জানিয়ে নিয়োগ বানিজ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে,স্থানীয়দের তোপের মুখে নিয়োগ বন্ধ করেন,ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার (২ অক্টোবর) উপজেলার কসব উচ্চ বিদ্যালয়ে।
জানাগেছে, কসব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেন প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন সময় জাহাঙ্গীর আলমের নিকট থেকে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। চাকরি দিবে বলে ভূক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলমকে দুই বছর ধরে বিনা বেতনে চাকরি করে আসছেন। এখন চাকরির বয়স প্রায় শেষ। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এবার আশায় বুক বেঁধে আছেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেন মোটা অংকে বিক্রি হয়েছে অন্য প্রার্থীর নিকট। জাহাঙ্গীর কে নিয়োগ দিতে শুরু করে তালবাহানা। বহু জল্পনা কল্পনা শেষে গত রবিবার রাতে অন্য প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলেন। অবশেষে জনতার তোপের মুখে বন্ধ বন্ধ হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
এই ঘটনার জের ধরে ঘটনাটি অন্যদিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এখন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেন ভূক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলমসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখপূর্বক এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। নিয়ে ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভূক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম জানান,আমাকে চাকরি দিবে বলে প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেন ১৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। এছাড়া তিনি দুই বছর ধরে ওই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে নিচ্ছেন।এখন অন্য প্রার্থী নিকট মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাকে চাকরি দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন। এখন আমার চাকরির বয়স শেষ হয়ে আসছে। আমি এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। চাকরি দিবে না তাহলে আমাকে আগে বলে দিত। এখন চাকরি না পেলে আত্মহত্যা ছাড়া উপায় নাই।
ওই এলাকার সমাজসেবক লুৎফর রহমান বলেন, থানার ওসিকে ডেকে এনে, ক্ষমতার দেখিয়ে রাতের বেলা নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু জনতার তোপে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রধান শিক্ষক। হয়রানি করতে প্রধান শিক্ষক এলাকাবাসী এবং প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
কসব ইউনিয়ন আ. লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছালাম জানান, দূর্গাপূজা উপলক্ষে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এই সুযোগে রাতের বেলা ওসিসহ পুলিশ পাহারায় নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু জনতার সংঘবদ্ধ হয়ে স্কুল ঘেরাও করলে এক পর্যায়ে থানার ওসিসহ প্রধান শিক্ষক ফিরে যায়। এর পর তারা ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। তিনি আরও বলেন আমার ছেলে মোহনকে নিয়োগ দেওয়া কথা বলে ১২ লক্ষ টাকা প্রধান শিক্ষক নিয়েছেন। এঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করি।
এ ব্যাপারে কসব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।