সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
অর্থ না থাকায় বাকি কাজ সম্পন্ন করতে পারছেনা মাদ্রাসা কমিটি।এতে মাদ্রাসার ছাত্রীরা পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসা কমিটি।
মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর উদ্যোগে গ্রামবাসীর অর্থায়নে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে চলছিল মাদ্রাসা নির্মাণ কাজ। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে হঠাৎ করে মাদ্রাসা নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
নির্মাণকাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, মাদ্রাসার ছাদ ও ওয়াল ঢালাই না থাকায় পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এই মাদ্রাসা কমিটির সদস্যরা ও মুসল্লিরা। অপরদিকে মাদ্রাসা নির্মাণকাজ শেষ করতে না পাড়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে গ্রামবাসী ও মুসল্লিরা।
মুড়ারবন্দ গ্রামের মহিলা মাদ্রাসা গ্রায় ১০বছরের পুরাতন। এখানে অর্ধশতাধিক পরিবারের মেয়েরা পড়াশোনা করেন। গ্রামবাসী বেশিরভাগই অতি দরিদ্র কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ
মাদ্রাসাটি ১০বছরের পুরাতন হলেও প্রতিষ্ঠালগ্নে একটি কুঁড়েঘর ছিল। পরে গ্রামবাসীর অর্থায়নে ইটপাথর মাধ্যমে একটি বিল্ডিং এর অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
জানাযায়, প্রতিষ্ঠালগ্নে মাদ্রাসাটি ঢেউটিনের ভাঙা ছিদ্র দিয়ে মাদ্রাসার ভিতরে বৃষ্টির পানি পড়তো। এছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ছাএীদের পড়াশোনা করতে এসে নানারকম প্রতিকূলতার মুখে পড়তেন ছাএীরা।
পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সম্প্রতি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি সফাত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক, এর উদ্যোগে গ্রামবাসীর অর্থায়নে কাজ শুরু করা হয়।
কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে বেশিদূর এগুতে পারেননি তারা। উপরন্তু কারণে নতুন করে নির্মাণ কাজ করে বেকায়দায় পড়েছেন মাদ্রাসা কমিটি এখন এই মহিলা মাদ্রাসায় ছাএীদের পড়াশোনা সম্ভব হচ্ছে না।
মহিলা মাদ্রাসার কমিটির সভাপতি সফাত উল্লাহ জানান, নিজেদের অপরাধী মনে হচ্ছে মহিলা মাদ্রাসা নির্মাণ কাজ ধরে শেষ করতে পারলাম না, এখন গ্রামের মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারছে না।
এবারের বন্যায় এমনিতেই আমরা সর্বহারা, কিভাবে নিজেদের মধ্যে টাকা আদায় করে এই মহিলা মাদ্রাসা নির্মাণ কাজ শেষ করি। এই মাদ্রাসা নির্মাণ কাজ শেষ করতে আরো প্রায় ১০লক্ষ টাকার প্রয়োজন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে কতবার লিখিত ও মৌলিক আবেদন করেছি, আমাদের এই মুড়ারন্দ পঞ্চ গ্রাম মহিলা মাদ্রাসা নির্মাণে সরকারি সহায়তার জন্য, কিন্তু কোন সহায়তা না পেয়ে আমরা এখন দিশেহারা।
গ্রামের বাসিন্দা- মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক মুয়াজ্জিন আব্দুল কাহার
বলেন, মাদ্রাসা নির্মাণকাজ শেষ না হলে মাদ্রাসায় এসে আর পড়াশোনা করতে পারবেন ছাএীরা । এখন আল্লাহ জানেন কবে টাকা-পয়সা জোগাড় হয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
আমরা গ্রামের খেটে-খাওয়া গরিব মানুষ। বড় অংকের টাকা দিয়ে সাহায্য করার সামর্থ্য আমাদের নেই। জানি না মহিলা মাদ্রাসা নির্মাণকাজ কবে শেষ হবে, আর কবে জানি সুযোগ হবে মহিলা মাদ্রাসায় গিয়ে ছাএীদের পড়াশোনা করাবো।
মহিলা মাদ্রাসা অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে সমাজের বিত্তবান এবং ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য মহিলা মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি সফাত উল্লাহ এর মোবাইল নং: বিকাশ,, ০১৭৭৫৭৬১৯০৯ যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন মহিলা মাদ্রাসার কমিটির সদস্যরা।