এস আর,সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের সবত্র ছড়িয়ে পড়ছে (কনজাংটিভাইটিস) বা চোখ ওঠা রোগ। শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ সব বয়সের নারী-পুরুষের হচ্ছে এ (কনজাংটিভাইটিস) চোখ ওঠা রোগ। এক পরিবারে একজনের হলে পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও হচ্ছে। তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউ। রোগটি ছোঁয়াচে ফলে প্রতিদিন কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। রোগটি ছোঁয়াচে। ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় অনেকে কালো চোশমা পরে আবার অনেকে খালি চোখেই ঘুরাফেরা করছেন। এতে ওই রোগের সংক্রমন আরো বেড়ে যেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।তাই সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা।সরেজমিনে দেখা গেছে উপজেলার তালন্দ ইউপির ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড মোহর গ্রামের গ্রাম্য প্রধান ও ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি রইচ উদ্দিন বাচ্চু ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হযরত আলী, মাদ্রাসার ক্লার্ক মুরাদসহ অনেকেই চোখ ওটা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়াও তানোর পৌরসভার ৫,৮,৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তানোর এই (কনজাংটিভাইটিস) চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
তানোর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের পরিবারের অনেকে রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রথম অবস্থায় চোখ চুলকায় এবং পরবর্তীতে চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে ও পানি ঝরছে। এছাড়াও বাইরের আলোতে চোখ দিয়ে দেখা যাচ্ছে না। চোখ দিয়ে পেষ্টি বের হচ্ছে বলেও তারা জানান। তবে চোখ ওঠার ৪-৫ দিনের মধ্যে ভাল হয়ে যাচ্ছে বললেন তারা। এ রোগে আক্রান্তের কারণে বড় ধরনের কোন সমস্যা না হলেও পূর্ব সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, এটি ভীষণ ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের একজনের হলে ওই পরিবারের অন্য সদস্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। গরমকালে এ রোগের প্রকোপ বাড়ে বলে তিনি জানান।
কনজাংটিভাইটিস বৈজ্ঞানিক নামের এরোগটি স্থানীয়ভাবে চোখ ওঠা নামে পরিচিত। অপরিস্কার ও নোংরা জীবন যাপন চোখ ওঠার অন্যতম কারণ। তিনি আরো জানান, এই রোগের ক্ষেত্রে অগ্রিম পদক্ষেপ নেয়ার কিছু নেই। রোগিরা হাসপাতালে আসলে তারা চিকিৎসা প্রদান করছেন এবং করবেন বলে তিনি জানান। তবে রোগটি যেন অন্যদের মাঝে না ছড়ায়, আক্রান্ত ব্যক্তিকে সেদিকে সচেতন থাকতে হবে বলে তিনি জানান।
এ রোগে সাধারণত কোন রোগিকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়না। অবস্থা ভেদে আক্রান্ত রোগিকে তিনি অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার ও এন্টিহিস্টামিন সেবনের জন্য এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার কথা বলেন।