এস আর,সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই নম্বর ওয়ার্ড (তানোর) আসনে সাধারণ সদস্য পদে অংশ নেয়া প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দের পর জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। এদিকে প্রচার-প্রচারণা ও বিজয়ী হবার দৌড়ে অনেকটা শুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন (তালা)। জানা গেছে, দুই নম্বর ওয়ার্ডে (তানোর) সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদন্দিতা করছেন চারজন। এরা হলেন মাইনুল ইসলাম (তালা), উজ্জল হোসেন (বৈদ্যুতিক পাখা), গোলাম মোস্তফা (হাতি) ও মৃদুল কুমার ঘোষ (টিউবয়েল)।এছাড়াও এক নম্বর সরক্ষিত আসন (তানোর-গোদাগাড়ী-পবা-সিটি) মহিলা সদস্য পদে কৃষ্ণা দেবী (দোয়াত কলাম), রিতা বিবি (টেবিল ঘড়ি), সাইদা ইয়াসমিন লোনা (ফুটবল) ও শিউলী রানী সাহা (হরিণ) প্রতীক নিয়ে প্রতিদন্দিতা করছেন। দুই নম্বর ওয়ার্ডে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি এবং ২টি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১১৭ জন। তবে সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা প্রতিদিন ছুটে চলেছেন এক ইউপি থেকে আরেক ইউপি,এক পৌরসভা
আরেক পৌরসভা। ভোট প্রার্থনা করে ধর্ণা দিচ্ছেন মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের দুয়ারে দুয়ারে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তানোরের কলমা ইউপির চৌরখৈর গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সদস্য প্রার্থী মাইনুল ইসলাম স্বপন। ফলে একদিকে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আত্মীয়তার বন্ধন, অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থন দুই মিলে নির্বাচনে বিজয়ী হবার দৌড়ে স্বপন অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। স্থানীয় ভোটারদের ভাষ্য,, যেহুতু এটা সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন নয়, সেহুতু এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তারা সরকার সমর্থক প্রার্থীকে বিজয়ী করতে চাই। কারণ হিসেবে তারা বলছে, স্বতন্ত্র নামে সরকারবিরোধী প্রার্থীদের বিজয়ী করা হলে একদিকে উন্নয়ন বঞ্চিত, অন্যদিকে সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি।একজন সচেতন নাগরিক বা জনপ্রতিনিধি হিসেবে তারা এটা করতে পারেন না। তারা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন, কাজেই উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতেই তারা ক্ষমতাসীন দলের সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয় চাই।