ওবায়দুর রহমান, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি :
চট্টগ্রামের বঙ্গোপসাগরে জাহাজ ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত মাগুরার ৬ জন নিঁখোজ রয়েছে। জেলার মহম্মদপুর উপজেলার মন্ডলগাতী, খলিশাখালি ও রঘুনাথপুর গ্রামের নিখোঁজ পরিবারগুলোতে চলছে শোকের মাতম।
ডুবে যাওয়ার সময় ওই জাহাজটিতে কর্মরত মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার চর-যশোবন্তপুর গ্রামের লুলু মিয়ার ছেলে রুবেল এবং খলিশাখালী গ্রামের কামাল মোল্যার ছেলে রবিউল ইসলাম সাঁতরে কুলে উঠতে সক্ষম হয়।
তারা জানায়, বুধবার ১২তারিখ বিকাল ২ঃ৩০মিনিটের দিকে তাদের পাথর বোঝায় জাহাজ এমভি সুলতান সানজার চট্রগ্রাম থেকে কর্ণফুলির দিকে যাচ্ছিলো,পিছন থেকে আকিজ লজিস্টিক-২৩ নামের একটি জাহাজ তাদর জাহাজকে আড়াআড়ি ভাবে ঢাক্কা দিলে তাদের জাহাজ সানজার বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙরে মুহূর্তের মধ্যে ডুবে যায়।এ জাহাজে মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার আরো ৬ জন কর্মরত ছিল। তারা হলেন মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউপির মণ্ডলগাতি গ্রামের নূরোল হোসেন মোল্যার ছেলে শিমুল (৩৫) ও জাহিদুল (২৩) একই গ্রামের খসরু বিশ্বাসের ছেলে সুরুজ(১৯)গোলাম রসূল মোল্যার ছেলে নূর মোহাম্মদ(৪০) এবং একই উপজেলার নহাটা ইউপির খলিশাখালি গ্রামের কামাল মোল্যার ছেলে মনির হোসেন(২৫) ও বাবুখালী ইউপির রঘুনাথপুর গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে নাজমুল(২৯)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
১৩ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকালে মাগুরার নিখোঁজ ওই পরিবারগুলোতে গিয়ে দেখা যায় সেখানে চলছে শোকের মাতম। তারা প্রত্যেকেই সানজার জাহাজে কর্মরত ছিল এবং কোরবানীর ঈদের ছুটি শেষে চট্টগ্রামে ওই জাহাজটিতে কাজে ফিরে যায়।
মন্ডলগাতি গ্রামের নিখোঁজ শিমুল ও জাহিদের মা ফাতেমা বেগম বলেন, আমার ছেলেরা বুধবার সকাল ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে কথা বলে কাজে গেছে,পরে কথা বলবে বলে জানালেও আর কথা হয়নি,এখন শুনছি তাদের জাহাজ ডুবে গেছে।
একইভাবে অন্যান্যদের পরিবারে গিয়েও দেখা যায় প্রতিটি পরিবার শোকাগ্রস্ত। তারা নিজ নিজ পরিবারের নিখোঁজ সন্তানদের সন্ধান চেয়েছেন।এদিকে চট্টগ্রাম নৌ-পুলিশ সূত্রে জানাযায়, তারা মনির নামে একজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।ঐ একই দিনে কর্ণফুলীতে আরো একটি জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে,এ ঘটনায় ১৩ জন নিখোঁজ হয় বলে জানাগেছে। এ বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন,এবিষয়ে আমাদের কাছে কাছে অফিসিয়াল ভাবে কোন তথ্য নেই,আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।