এস আর,সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোর পৌর সদরের আমশো মহল্লার আজাদ স্যানিটেশন সংলগ্ন একটি বাড়িতে অবৈবভাবে মেসার্স জাহানারা বিস্কুট কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গোল্লাপাড়া বাজারের মেসার্স বিসমিল্লাহ্ জেনারেল স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী জানে আলম দিগর কোনো অনুমতি ছাড়াই অবৈধ ভাবে রাতারাতি জাহানারা বিস্কুট কারখানা গড়ে তোলেন। তারা আরো বলেন,এই কারখানায় অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে মেয়াদোত্তীর্ণ ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপকরণ এবং অনুমোদনহীন কেমিক্যাল দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে পাউরুটি, কেক, রোলক্রীম, বিস্কুটসহ বিভিন্ন রকমের মুখরোচক রসালো খাবার।
ময়দা ও ডালডা দিয়ে তৈরি হচ্ছে মাখন। কেকের জন্য তৈরী মিশ্রিত ময়দায় অসংখ্য মশা মাছি পড়ে থাকতে দেখা গেছে, একই পোড়া তেল দিয়ে বারবার ভাজা হচ্ছে বিভিন্ন রকমের রসালো শিশুখাদ্য। এসব খাদ্য পূণ্য তৈরি কারিগরদের কোন প্রকার স্বাস্থ্য পরিক্ষা না করে, সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে মাস্কবিহীন ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে খালি হাতেই তৈরি করছেন এসব খাদ্যপণ্য। এতে করে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। অথচ এসব পণ্য উপজেলা বিভিন্ন এলাকাসহ বিসমিল্লাহ্ জেনারেল স্টোরে ঢাকার পণ্য বলে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব খাবার খেয়ে ছোটো ছোট ছেলে-মেয়েরা ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
নিরাপদ খাদ্য ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার আইন সংরক্ষণ ২০০৯ এর আওতায় এনে জাহানারা বিস্কুট কারখানা বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। এবিষয়ে জানতে চাইলে জানে আলম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়ম মেনে বেকারি চালানো হচ্ছে। এবিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মাসুদ বলেন, তারা কোনো অভিযোগ পাননি, তবে দ্রুত ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।