সাহিদ বাদশা বাবু
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃতঃ নজরুল ইসলামের ছেলে আবু তৈয়ব আলী(৩৫)কে বড়বাড়ী ইউনিয়নের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ৪,৫,৬ ওয়ার্ডের সদস্য লাইলী বেগম ছেলে মোঃ পাভেল (৩৮) ও এনামুল হক এর ছেলে মাহফুজার রহমান আশিক (২৫) দুজনে মিলে হাসপাতালে ব্যবহার কৃত সিজারের ধারালো কাটার (চাকু) দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি ভাবে রক্তাক্ত ও জখম করে।
সেই সময় এলাকার লোকজন নামাজ পড়ার উদ্দেশ্য মসজিদের দিকে যাচ্ছিল, নামাজ শেষে মসজিদ থেকে দ্রুত মুসল্লীরা বাহিরে এসে সন্ত্রাসী শীবির কর্মী পাভেল ও আশিক কে ধরার জন্য ধাওয়া করলে তারা দুজনেই দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। সোমবার বেলা ১.৩০ মিনিটে দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলা বড়বাড়ি ইউনিয়ন,জয়হরি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে আহত তৈয়বের মায়ের আত্বচিৎকারে লোকজন ছুটে এসে তৈয়ব কে একটি অপরিচিত অটোরিকশা যোগে ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে কতর্বরত চিকিৎসক তৈয়বের অবস্থা আশংখা জনক দেখে দ্রুত ভর্তি করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করেন।
চিকিৎসাধীন আবু তৈয়ব বলেন,পারিবারিক শত্রুতার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল সন্ত্রাসী ও জামাত শিবির মাহফুজার রহমান আশিক ও পাভেল।
তৈয়ব আলী তার বাড়ির সামনের দোকান পারে দোকানদার সহ দোকানের সামনে বসে চকরচল খেলছিলো সেই সময় উক্ত সন্ত্রাসী ও শিবীর কর্মী পাভেল ও আশিক এই ঘটনা ঘটায়। আশিক ও পাভেল এর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকা বাসী দুজনের বিরুদ্ধে একটি গনপিটিশন দেন পুলিশ সুপার বরাবরে।
সন্ত্রাসী আশিক ও পাভেল এর সম্পর্কে যানতে চাইলে এলাকাবাসী সাংবাদিকদের বলেন যে এদের দুজনের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি, এদের দুজনকে সাহস ও শক্তি যোগান দেন পাভেলের বড়ভাই নোবেল বর্তমানে সে সেনাবাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন বলে এলাকা বাসী জানান।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী গণপেটিশনে আরে বলেন, মাহফুজুর রহমান আশিক ও তার বন্ধু পাভেল জামাত-শিবিরের সক্রিয় সদস্য তারা দুজনেই দীর্ঘদিন ধরে আমাদের গ্রামে অন্যায় অত্যাচার করে আসতেছেন, কিছু বলতে গেলে বড়বাড়ি ইউনিয়ন সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ৪,৫,৬, ওয়ার্ডের সদস্য লাইলী বেগম ও তার ছেলে সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন বলে তার সাহসে অন্যায় অত্যাচার করেন জামাত-শিবির সদস্য মাহফুজুর রহমান আশিক ও তার বন্ধু পাভেল
এলাকাবাসীরা বলেন তারা দুজনেই মাদক সেবনকারী ও জামাত শিবির কর্মী মাহফুজুর রহমান আশিক ও পাভেল এলাকায় অনেক অন্যায় ও অত্যাচর করে আসতেছেন। এ ব্যাপ্যারে ৪ জনের নামে পুলিশ সুপার ও সদর থানা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত নজরুল ইসলামের বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম।
এ ব্যাপ্যারে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনর্চাস (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, আমরা এ ব্যাপ্যারে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা নিবো।