1. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  2. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
  3. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  4. wpapitest@config.com : wpapitest :
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
রাজশাহীতে পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে চুরি রাজশাহীর দুর্গাপুরে আমগাছের সঙ্গে বাঁধা প্রেমিক যুগল পিরোজপুরে নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি সানির মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন নওগাঁর রাণীনগরে ভ্যানের চাকায় শাড়ির আঁচল পেঁচিয়ে বৃদ্ধা নিহত লালমনিরহাটে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পিরোজপুরে ওয়ার্ল্ড ভিশন এর উদ্যোগে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত বরেন্দ্র অঞ্চলে আমের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা ঝিনাইগাতীতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে পিটিয়ে আহত রায়পুরে বিএনপির অভ্যন্তীর কোন্দলে নিহতের জেরে বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ তানোরে বোরো রোপণে ব্যস্ত প্রান্তিক কৃষক, আশার আলোয় কৃষকরা
শিরোনাম:
রাজশাহীতে পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে চুরি রাজশাহীর দুর্গাপুরে আমগাছের সঙ্গে বাঁধা প্রেমিক যুগল পিরোজপুরে নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি সানির মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন নওগাঁর রাণীনগরে ভ্যানের চাকায় শাড়ির আঁচল পেঁচিয়ে বৃদ্ধা নিহত লালমনিরহাটে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পিরোজপুরে ওয়ার্ল্ড ভিশন এর উদ্যোগে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত বরেন্দ্র অঞ্চলে আমের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা ঝিনাইগাতীতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে পিটিয়ে আহত রায়পুরে বিএনপির অভ্যন্তীর কোন্দলে নিহতের জেরে বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ তানোরে বোরো রোপণে ব্যস্ত প্রান্তিক কৃষক, আশার আলোয় কৃষকরা

শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন,আগামী প্রজন্মের সর্বনাশের কারণ- শিশুবন্ধু মুহাম্মদ আলী

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২২
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

 

নিউজ ডেস্ক:-

একটি শিশু যখন জন্মগ্রহণ করে তখন সেই শিশুটি মায়ের ঠৌটের সাথে মিলিয়ে কথা শিখতে চেষ্টা করে। সাধারণত শিশুরা ১২-১৫ মাসের মধ্যে মামা দাদা বলতে শিখে। ১৮ মাসের মধ্যে হ‍্যা না বুঝতে শিখে এবং ৩ বছর বয়সের মধ্যে ছোট ছোট বাক‍্য দিয়ে কথা বলতে শিখে। কিন্তু এই স্বাভাবিক সময়ের মধ্যে কথা বলতে শিখছে না অনেক শিশু। যার অন‍্যতম কারণ হলো শিশুর হাতে মোবাইল ফোন বা স্কীনযুক্ত ইলেকট্রিক ডিভাইস তুলে দেওয়া। গবেষণায় বলছে দিনে ৩০ মিনিট মোবাইল ফোন ব‍্যবহার করে এমন শিশুদের মধ্যে ৪৯ ভাগরই শিশু দেরিতে কথা বলতে শিখে। ৬ থেকে ২ বছরের শিশুদের উপর জরিপ করে এর সত‍্যতা পেয়েছেন গবেষকরা। গবেষণায় দেখা গেছে যেসব শিশু দিনে গড়ে ২৮ মিনিটের বেশি সময় ফোন ব‍্যবহার করে তারা এই সমস্যায় পড়ে। মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক সম্প্রতি এই গবেষণাটি পরিচালনা করে। অন‍্য এক গবেষণায় একই ফলাফল পেয়েছেন কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানী ক‍্যাটরিন ব‍্যাগক‍্যান।
বর্তমানে দেখা যায় শিশু যখন একটু কান্না করে সাথে সাথেই শিশুর কান্না থামানোর জন্য শিশুর হাতে মোবাইল ফোন ধরিয়ে দেয়। এরপর দেখা যায় ঐ শিশুর হাত থেকে মোবাইল নিতে গেলে শিশুটি আবার উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এবং কোন কারণ ছাড়াই শিশুটি মোবাইল পেতে উত্তেজিত আচরণ করতে থাকে। কথা বা অন‍্যভাবে নিজের বক্তব্যে অন্যকে বুঝানো অন‍্যের বক্তব্য বুঝা এবং সামাজিক ভাষা বা অন‍্য মাধ্যম এই তিনভাগে আমরা যোগাযোগ করে থাকি। ইশারা ইঙ্গিত বা চোখে চোখে যোগাযোগ মাধ্যমটিও অন‍্যতম। শিশুরা সাধারণত তার পিতা মাতাদেরই অনুকরণ করে থাকে। কথা বলা শিখার আগেই বাবা মায়ের ঠোটের সাথে মিলিয়ে কথা বলা শিখার চেষ্টা করে। পিতা মাতার চেহারা প্রকাশ ভঙ্গিও শিশুরা অনুকরণ করে। গবেষণায় বলছে যে শিশুরা মোবাইল ফোন ব‍্যবহার করে তারা বড় হয় পর্যাপ্ত সামাজিক যোগাযোগ ছাড়াই।যা তাদের আচরণের উপর প্রভাব ফেলে। বর্তমানে অধিকাংশ অভিবাবকদের অসচেতনতার কারণেই শিশুদের এই সমস্যা হচ্ছে। শিশুদের অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব‍্যবহারের কারণে তাদের মস্তিষ্কে আঘাত আসে, খিটখিটে মেজাজ ও অতিরিক্ত উত্তেজিত হওয়া সহ বিভিন্ন সমস্যা তারা ভোগে। জন্মের পর থেকে শিশুদের যেভাবে শিখানো হবে সেই ভাবেই তারা গড়ে উঠবে। বর্তমানে আমরা ইন্টারনেটে যুগে রয়েছি। যার ফল ভালোর দিক যেমন আছে খুব খারাপ দিকও তেমন আছে। দেখা যায় অভিবাবকরা তাদের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন, ট‍্যাব, কম্পিউটার ল‍্যাপ্টপ ধরিয়ে দিয়ে তারাও বিভিন্ন টিভি নাটক সিরিয়াল,দেখতে মগ্ন থাকে। ফলে ছেলে মেয়েরা মোবাইল পেয়ে বিভিন্ন গেমসে মনোনিনেবশ দেয় এমন কি অনেক খারাপ সাইটেও প্রবেশ করে পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু এই অভিবাবকদের একটুরণ জন‍্যও ভাবনায় আসে না যে তারা তাদের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যত তাদের নিজের হাতে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই মোবাইল ফোন সামাজিক রীতিনীতি আনন্দ উৎসব থেকেও মানুষ কে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পরিবারের ভুমিকা সবচাইতে বেশি বলে মনে করছি। তবে আগামী প্রজন্ম কে বাঁচাতে সরকারের পক্ষ থেকেও কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সুতরাং পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সহ সকলে মিলে আগামী প্রজন্ম যাতে সঠিক এবং মেধাবী প্রজন্ম হিসেবে গড়ে উঠে সে লক্ষ্যে এক যোগে কাজ করতে হবে। তবেই আজকের শিশু আগামীর বাংলাদেশ হবে।

 

নিজস্ব সংবাদদাতা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD