পিরোজপুর প্রতিনিধি :
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া ঘূর্ণীঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাব ইতিমধ্যেই পিরোজপুরে পড়তে শুরু করেছে। আজ রোববার সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সময় যতই গড়াচ্ছে থেমে থেমে বৃষ্টির প্রভাব ততই বৃদ্ধিা পাচ্ছে। ঘূর্ণীঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবেলায় পিরোজপুরে জেলা প্রশাসনের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতি মুলকসভা হয়েছে। রোববার দুপুরে জেরা প্রশাসকের সম্মেলণ কেন্দ্রে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলার ৭ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সহ জেলার বিভিন্ন সরকারী -বেসরকারী দফতরের কর্মকর্তা, রেডক্রিসেন্ট ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেরা প্রশাসক আগাম প্রস্তুতির ব্যাপারে সকল উপজেলা নির্বাহীদের সহ সকলকে দিক নির্দেশনা দেন। জেলা প্রশাসক জানান, জেলার ৭ উপজেলায় জনসাধারনের আশ্যয়ের জন্য ২৬০টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ১৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২৫০ মেঃটঃ চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক সহ রেড ক্রিসেন্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক উপজেলা সমুহে প্রস্তÍত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়ণ কেন্দ্রে প্রায় ৩ লাখ লোক আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়াও ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং স্যালাইন সহ বিভিন্ন ঔষধের পর্যাপ্ত যোগান তাদের রয়েছে।
এদিকে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, বড়মাছুয়া ইন্দুরকানী উপজেলারটগরা ফেরিঘাট এলাকার প্রায় ২৩ কিঃমিঃ বেরিবাধ অরক্ষিত আছে স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবে মেহেদী হাসান বলেন, মঠবাড়িযার খেতাছিড়া, কঁচুবাড়িয়া, বড়মাছুয়া ভাংগন এরাকায় কিছু গাইড ওয়াল করা হয়েছে। এছাড়া ৮৩০ কিঃমিঃ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাংগন রোধের চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি জানান, তাদের হাতে বেশ কিছু জিও ব্যাগ প্রস্তুত আছে যা জরুরী কাজের সময় ব্যবহার করা যাবে।
পিরোজপুর সংবাদদাতা