শাকিল আহমেদ, নড়াইলঃ
নড়াইলে গ্রাম্য ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দির্ঘদিন ধরে সাধারন রুগীদের সাথে চিকিৎসা সেবা ও ভূয়া টেস্ট বাণিজ্যের নামে প্রতারনা করছেন জনক কুমার দাস।
সদর হাসপাতাল গেটের ঠিক উল্টো পাশে বসেন জনক কুমার দাস। তিনি নিজেকে নড়াইল গ্রাম্য ডাক্তার সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলে দাবী করেন। আবার অনুমোদনহীন নড়াইল ডায়োগনষ্টিক সেন্টারের মালিক ও তিনি। তার চেম্বারে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নাম লেখা থাকলেও সেখানে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বসেন না। তিনিই সর্বরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে সেখানে রুগী দেখেন, আর প্রতিদিন টেস্ট করার নামে সাধারন রুগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা।
শুধু নড়াইল ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারে বসে তিনি ক্ষ্যান্ত হননি, তিনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সেজে রুগী দেখতে যান লোহাগড়ার মহাজন বাজার, নলদী বজার সহ আরো অনেক যায়গায়।
অথচ গ্রাম্য ডাক্তার হিসেবে তার বসার কথা গ্রামে কিন্তু তিনি বসেন এম বি বি এস ডাক্তারদের জন্য তৈরী করা চেম্বার নড়াইল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে।
সম্প্রতি নড়াইলের মহাজন বাজারে অবৈধ কোয়ান্টাম মেশিন দিয়ে রুগী দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের জেড়ার মুখে ভারসাম্যহীন ভাবে পালিয়ে আসতে বাধ্যহন জনক দাস। কিছুদিন বন্ধ রেখে আবার পুরো উদ্যমে শুরু করেছেন প্রতারনা, তার চেম্বারের আশে পাশে সব সময় দালালের ভীড় লেগেই থাকে।দালালরাই মূলত তার ব্যবসার মূল পুঁজি।
জনক দাসের রয়েছে আমেনা, মধু, নাহার, হনুফা, আফরোজা সহ প্রায় দশ জন মহিলা দালাল। দালালেরা প্রতিদিন প্রায় ৩০/৪০ জন রুগী নিয়ে আসেন তার চেম্বারে।
এসব চিহ্নিত দালালদের প্রধান কাজ হচ্ছে গ্রামাঞ্চল থেকে আসা সাধারন রুগীদের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কথা বলে জনক দাসের মত প্রতারকের চেম্বারে নিয়ে আসা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তুলারামপুর ইউনিয়নের একজন জানান , জনক দাসের ভূয়া ডাক্তারির পাশাপাশি সূদে টাকা খাটানোর ব্যবসাও আছে, সে সাপ্তাহিক, মাসিক, বিভিন্ন শর্তে উচ্চ সূদে টাকা খাটায়, আর এভাবেই সে তুলারামপুরে চার তলা বাড়ি করেছে।তার সাথে তার এক সহ কর্মির পরকিয়া প্রেমের গুন্জন ও রয়েছে তুলারামপুর এলাকায়।
নড়াইল জেলা পুলিশের অভিযানে মাঝে মাঝে কিছু দালাল গ্রেফতার বা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়ার ঘটনা ঘটলেও অদৃশ্য কারনে জনক দাস থেকে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ভূয়া ডাক্তার ও দালাল নির্মুলে সরকারী কঠোর নির্দেশনা থাকলেও নড়াইলে এর কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়না বলে অনেকেই অভিযোগ করেন।
জনক দাসের মত ভূয়া ডাক্তার ও দালালদের বিরুদ্ধে প্রসাসন দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।