সুমন ইসলাম,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের আলোচিত বিএনপি সমর্থক শহিদুল ইসলামকে জেলা যুবদলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।আজ বৃহস্পতিবার শহরের হাজিপাড়াস্থ সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীনের বাসভবনে তাকে এ সহায়তা প্রদান করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন, সহ সভাপতি আবু তাহের দুলাল, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, সহ সভাপতি আবু হানিফ মুক্তা, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল চৌধুরী, হেলাল, জাহিদ হাসান, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মো: লিটন, থানা যুবদলের আহবায়ক আশাদুল ইসলাম, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মিনহাজ, সেতুসহ বিএনপির বিভিন্ন সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। এ সময় জেলা যুবদলের পক্ষ থেকে সদর উপজেলার রুহিয়া ঘনিবিষ্ণপুর গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে বিএনপি সমর্থক শহিদুল ইসলামকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ২৮ তারিখেই রুহিয়া থেকে ১০ জনের একটি টিমের সাথে রংপুরের পথে রাওয়ানা হই। গাড়ি রংপুরে না যেতেই পথিমধ্যে নামিয়ে দেয়। পরে অটো রিক্সায় করে কিছুদূর গেলে সেটাও কিছুদুর গিয়ে নামিয়ে দেয়। পরে এভাবেই ভেঙ্গে ভেঙ্গে রংপুরে পৌছাই। ওই দিন রাতটা রেল ষ্টেশনে কাটিয়ে পরদিন সমাবেশে যোগ দেই। আমার কাছে তেমন টাকা পয়সা না থাকায় খিদা লাগায় চিড়া-মুড়ি ছিল সেগুলো খেয়েছি। পরদিন সেখান থেকে সমাবেশ শেষ করে পাগলাপীর মাজার, পরে কুষ্টিয়া লালন শাহের মাজার ও শেষে বাগেরহাটে গিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করি। আজ যুবদলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর রংপুরে বিএনপির মহাসমাবেশে শহিদুল ইসলামের চিড়া-মুড়ি খাওয়া একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরবর্তিতে তার খোজে নামেন নেটিজেনরা। অবশেষে তার সন্ধান বের করে তাকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হলো।