আব্দুল মজিদ মল্লিক, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ
নওগাঁয় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় বকুল হোসেন (৩৮) নামে এক যুবকের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয় ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এই রায় দেন। রায় ঘোষণাকালে আসামি বকুল হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৭ই জুন বদলগাছী উপজেলার গোপালপুর গ্রামের নাজমা আক্তারকে (১৭) একই গ্রামের বকুল হোসেন শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। ওই ঘটনার তিন দিন পর নাজমা বিষপানে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ তুলে ২০০৭ সালের ১৫ জুন মামলার আর্জি করেন নাজমার বড়ভাই আমেদুল ইসলাম। মামলায় আসামি করা হয় বকুল হোসেন, তার বাবা মকবুল হোসেন, মা জান্নাতুন নেছা ও পিন্টু মিয়া নামে আরেক যুবককে।
পরে আদালত আর্জিটি আমলে নিয়ে বদলগাছী থানা পুলিশকে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দেন।
তদন্তে বকুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৯ সালের ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আর অভিযোগের সত্যতা না মেলায় বকুলের বাবা মকবুল, মা জান্নাতুননেছা ও পিন্টু মিয়াকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর সরকারি কৌঁসুলি মকবুল হোসেন।
অন্যদিকে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রকাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, এই রায়ে যুক্তির চেয়ে আবেগকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। আমার মক্কেল সঠিক বিচার পাননি। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করব।
আব্দুল মজিদ মল্লিক
নওগাঁ