তাওহীদ হাসান উসামা
যশোরের অভয়নগর উপজেলার এক্তারপুর বাজার থেকে গ্রামতলা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কের কাজ গত ২ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এ সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ। গ্রামতলা, গাজীপুর, কাদিরপাড়া, বাকারডাঙ্গা যাওয়ার অন্যতম এ সড়কটি গত ২ বছর আগে সংস্কারের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। কাজ ও শুরু হয় কিন্তু ৮০ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার পর হঠাৎ সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
উধাও হয়ে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এরপর থেকে ভোগান্তি শুরু হয় এলাকাবাসীর। গতকাল শনিবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের সব কাজ শেষ হলেও পিচ ঢালাই না হওয়ার কারণে খোয়া উঠে ছোট বড় গর্তের সৃষ্ঠি হয়েছে। সেসব গর্তের কারণে সড়কে চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। গ্রামতলা গ্রামের জিসান নামে এক পথচারী জানান, এ সড়কটি দির্ঘদিন ধরে এভাবে অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে, পুরোপুরি সংস্কার না হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি এখন চরম পর্যায়ে পৌছেছে।
এ সড়কটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। আবিদ আব্দুল্লাহ নামে অপর একজন পথচারী জানান, সড়কটির বেহাল দশার কারণে প্রায় ছোটবড় দূর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়ে। গ্রামতলা গ্রামের মরিয়ম নামে একজন নারী জানান, অসুস্থ রোগীকে এ সড়ক দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভ্যানচালক রবিউল জানান, ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় যাত্রীবহন করতে গিয়ে প্রায় ভ্যান নষ্ট হয়ে যায়। সড়কের বেহাল দশার বিষয়ে জানতে চাইলে চলিশিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান জানান, সড়কটি গত দেড় বছর যাবত এভাবে পড়ে আছে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিসে গিয়েও এর কোন সমাধান হয়নি। চলিশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সানা আঃ মান্নান জনতার কথাকে জানান, এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ইউনিয়নপরিষদের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আলাপ আলোচনাও হয়েছে কিন্তু এখনো কোন সমাধান হয়নি। যতদুর জানি নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
শুধু এ সড়কটিই নয় চলিশিয়া ইউনিয়নের আরো বেশ কয়েকটি সড়ক এভাবে পড়ে আছে। যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। এব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী এসএম ইয়াফি জানান, এই উপজেলার অনেক কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছিল, কিন্তু আমরা ঠিকাদারদের চিঠি দিয়ে ডেকে ডেকে কাজ করতে তাগিদ দিয়েছি। সেই অনুসারে বেশ কয়েকটি রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে আশাকরি দ্রুত সময়ে এই রাস্তার কাজ শুরু হবে।