পাবনা প্রতিনিধি :
রবিবার (৬ নভেম্বর) এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে পরীক্ষার সর্বশেষ প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময়ে মেঘলা খাতুন (১৮) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ পড়ে আছে থানার অভ্যন্তরে লাশবাহী গাড়িতে।
মেঘলা পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারি গ্রামের দালালপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
মেঘলা বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন- এ খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার (৫ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) মেঘলার পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালো হয়নি জেনে তার মা রাগারাগি করেন ও মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে বলেন। মায়ের কথায় অভিমান করে ওইদিন মেঘলা বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মেঘলাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ৪ দিন রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে ও মেঘলার কোন অবস্থার উন্নতি না হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
রাজশাহী থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে পরীক্ষার আগের দিনেই মেঘলার মৃত্যু হয়। মেঘলা দাশুড়িয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। প্রায় দুই বছর আগে একই গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে আব্দুল কালামের সঙ্গে মেঘলার বিয়ে হয়। এদিকে মেঘলার মৃত্যুতে এলাকাবাসী ও তার সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঈশ্বরদীর থানা সুত্র জানায়, মেঘলা খাতুনের মরদেহ ঈশ্বরদী থানায় আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
Leave a Reply