শাকিল আহমেদ,নড়াইলঃ
নড়াইল সদর পৌরসভার দূর্গাপুর এলাকার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে বরাশুলা মাদ্রাসার ৯ ম শ্রেনীর ছাত্র মোঃ আব্দুল্লাহকে গতকাল ৫ ই নভেম্বর চরেরঘাট এলাকা থেকে চেতনানাশক শুকিয়ে অপহরন করে নিয়ে যায় অপহরনকারীরা।ছেলেকে খুজে না পেয়ে
আব্দুল্লার পিতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম গতকাল ৫ ই নভেম্বর রাতে নড়াইল সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।
নড়াইল সদর হাসপাতালে গিয়ে আব্দুল্লাহ ও
তার মা চামেলি বেগমের সাথে কথা বলে জানা যায়,
আব্দুল্লাহ প্রতিদিনের ন্যায় গতকালকেও প্রাইভেট পড়ার জন্য বেলা তিনটার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। নড়াইল চরেরঘাট এলাকায় পৌছালে দুই মোটর সাইকেল আরোহী তার গতীরোধ করে,বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে।এক পর্যায়ে পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মোটর সাইকেলে উঠিয়ে নেয়।মোটর সাইকেলে উঠার সাথে সাথে তার মুখে রুমাল চেপে ধরে তাকে অচেতন করে ফেলে।
আজ তার হুশ হলে সে দেখতে পায় সে একটি রুমের মধ্যে। অপহরনকারীরা তার কাছে তার বাবার মোবাইল নাম্বার চায়, নাম্বার না দেওয়ার কারনে তাকে মারধর করে অপহরনকারীরা। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান পায়ে গভীর জখম করে।তবুও নাম্বার না দেওয়ায় তাকে রুমের মধ্যে রেখে বাইরে যায় অপহরনকারীরা।
এই সুযোগে সে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।আব্দুল্লাহকে অপহরন করে যশোহর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।আজ সন্ধার দিকে সে বাড়ি ফিরে এসেছে বলে জানান তিনি।
তার পায়ে গভীর ক্ষত ও শরীরে চেতনানাশকের প্রভাব থাকায় সাথে সাথে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেছেন তারা।
Leave a Reply