নিউজ ডেস্ক :
নরসিংদীর রায়পুরা থানার হাজতের শৌচাগার থেকে সুজন মিয়া (৩৫) নামের এক আসামির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে হাজতখানার রডের সঙ্গে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তি রায়পুরা উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে সুজন মিয়া (৩৫)।
জানা গেছে, প্রায় ১৩ বছর আগে লাভলী আক্তারকে বিয়ে করেন সুজন। সম্প্রতি প্রবাস জীবন শেষ করে দেশে ফিরে আসেন তিনি। পরে দেশে ফিরে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন সুজন। এ ছাড়া স্ত্রী লাভলীকে মোবাইলে অন্য ছেলেদের সঙ্গে কথা বলা দেখে সন্দেহ করতেন। এই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত।
এদিকে শনিবার (৫ নভেম্বর) রাতে বাসায় ফিরে স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সুজন স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে। পরে সুজনসহ তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যান।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর জানান, লাভলী বেগম হত্যার ঘটনায় তার মা মালেকা বেগম সোমবার (৭ নভেম্বর) রাতে সুজন ও তার বাবা-মার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।
তিনি আরও জানান, আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বুধবার সকালে কর্তব্যরত সেন্ট্রি নাশতা দিতে গেলে তাকে হাজতখানার রডের সঙ্গে গায়ের শার্ট দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।