সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক সেবন করে একটি ঔষধের ফার্মেসীতে গিয়ে মাতলামি করা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
গত ৬ নভেম্বর রোজ শনিবার সন্ধ্যায় এই ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ব্যাপক পরিমান মাদক সেবন করে জিগারতলা বাজারে ডাক্তার কামাল হোসেনের ফার্মেসীতে গিয়ে মদ দেয়ার জন্য বলেন। এ সময় ডাক্তার কামাল হোসেন বলেন আমার দোকানে তো মদ বিক্রি হয়না এখানে ঔষধ বিক্রি করা হয়। এই কথা শুনে মাদকসেবী রফিকুল ইসলাম জোরপূর্বক কেচি নিয়ে ঐ ডাক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন। চিৎকার শুনে আশপাশের দোকানের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে ঐ মাদকসেবী ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে ফার্মেসীর সামনে থেরে সরিয়ে দেন। স্থানীয় অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রফিকুল ইসলাম ইউপি সদস্য হওয়ার আগে থেকে বিশ্বম্ভরপুরের বিভিন্ন মদের ব্যবসায়ীদের নিকট হতে জোরপূর্বক মদ পান করে এলাকায় মাতলামি করলে ও তাদের ভয়ে কেহ প্রতিবাদ কিংবা মুখ খুলে কিছু বলার সাহস পাননি। আর এখন ইউপি সদস্য হওয়াতে রফিকুল ইসলাম আরো বেপরোয়া হয়ে প্রতিরাতে মাদক সেবন করে রাস্তাঘাটে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এলাকার পরিবেশটাকে অশান্ত করে তুলেছেন । এমনকি বর্তমান প্রজন্মের ছেলেরা এই ইউপি সদস্য রফিকুলের দিনরাতে রাস্তাঘাটে মাদক সেবন করে মাতলামি করা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুনে দিন দিন বিপদগামি হচ্ছে বলে মনে করেন এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন। এ থেকে পরিত্রানের জন্য তারা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও জেলা পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। এছাড়াও ঐ মাদক সেবী ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের আপন ছোটভাই তফাজ্জুল হোসেন রাতের বেলা বিভিন্ন বালু পাথর বোঝাই ট্রাক আটকিয়ে চাদা তুলে নেন বলে বিস্তর অভিযোগ ও আছে। এমন কোন অপরাধমূলক কাজ নেই যে তারা করেন না। সবকিছুতেই এই ইউপি সদস্য ও তার ভাই সম্পৃত্ত রয়েছেন বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ধনপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মাদক সেবনের বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং সাংবাদিক ফোন দিয়েছেন জানতে পেরে ফোনের লাইন কেটে দিয়ে তার ব্যবহিৃত মোবাইলটি বন্ধ করে দেন।
এ ব্যাপারে জিগারতলা বাজারের ফার্মেসী ব্যবসায়ী ডাক্তার কামাল হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার ফার্মেসীতে ইউপি সদস্যর মাতলামির তথ্যটি জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিলন খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,স্থানীয়রা অনেকেই মৌখিকভাবে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের প্রতিনিয়ত মাদক সেবনের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিউর রহিম জাদিদ জানান,একজন জনপ্রতিনিধি যদি মাদকসেবী হয় তাহলে সে তৃণমূলের জনগনের কি সেবা দিবে। সরকার মাদকসেবনকারীদের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে । কাজেই এই ইউপি সদস্য রফিকুলের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে মাদক সেবনের সম্পৃত্ততা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।