সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরুর প্রাক্কলে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বিবদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক কর্মী নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে এই কর্মীর মৃত্যুটা স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে।এ ঘটনায় উভয়পক্ষের আরো ৪০ জন আহত হয়েছেন।
এতে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে আসন গ্রহন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি,সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আহমদ হোসেন,কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন,স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. জয়াসেন গুপ্তা,মহিলা এমপি শামীমা শাহারিয়ার খানম,জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান,সাধারন সম্পাদক ব্যরিস্টার এম এনামুল কবির ইমন প্রমুখ।
সোমবার সকালে দিরাই উপজেলা সদরের বিএটিসির মাঠে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সম্মেলন শুরু হয়ার আগেই এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে এতে উভয়পক্ষের আনুমানিক ৪০ জন আহত হন। নিহত কর্মীর নাম মো. আমির হোসেন(২৭)। তিনি দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের কুলঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়,গত কয়েকদিন ধরে দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে ঘিরে বর্তমান আওয়ামীলীগের সভাপতি আলতাব উদ্দিন মাষ্ঠার ও সাধারন সম্পাদক প্রদীপ রায় গ্রুপের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়া ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায় গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে সম্মেলনকে সামনে রেখে দুটি গ্রুপ শহরে শো-ডাউন করেন। এ নিয়ে আজ সোমবার বিআরটিসি মাঠে সম্মেলনে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। এই সময় মোশারফ ও রঞ্জন রায়ের কর্মী সমর্থকরা প্যান্ডেলের ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ আলতাব উদ্দিন মাষ্ঠার ও প্রদীপ রায়ের সমর্থকরা বাধা প্রদান করেন। এতে উভয়পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এর পর্যায়ে চেয়ার ও ইট পাটকেল ছুড়ে একে অপরের দিকে। এতে উভয়পক্ষের ৪০ জন আহত হন। এদের সবাইকে তাৎক্ষনিক দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে যাওয়ার পর বিকেলে মোশারফ ও রঞ্জন রায়ের গ্রæপের আহত আমির হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ব্যাপারে দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদকও সাবেক পৌর মেয়র মো. মোশারফ মিয়া জানান,আমির হোসেন বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্দশের আমার গ্রæপের একজন সক্রিয় কর্মী। আজ সম্মেলন শুরুর আগে আমরা সবাই কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগতম জানাইয়া মিছিলটি গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন চেয়ার ও ইটপাটকেল ছুড়ে মারতে থাকে। পরে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. সাইফুল আলম জানান দিরাই হাসপাতালের ডাক্তার বলেছেন মো.আমির হোসেনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ##
Leave a Reply