রুহুল আমিন মুন্না, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
প্রতারণা, নারী ও শিশু নির্যাতন, মারামারি মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত হিরা ভেন্ডারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস আই মাইদুলের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে হিরা ভেন্ডারকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, নারী ও শিশু নির্যাতন, মারামারি মামলাসহ একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল। সব মিলে তার বিরুদ্ধে হাপ ডজন খানেক মামলা রয়েছে।
হিরা ভেন্ডারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতারণা, নারী ও শিশু নির্যাতন, মারামারি মামলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদ প্রচারের পর লালমনিরহাট জেলা সদরের বড়বাড়ি ইউনিয়নের শিবরাম এলাকার নজির হোসেনের অভিযোগ পর্যালোচনা করে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের শিবরাম এলাকার মৃত আতাউর রহমানের ছেলে গোলাম সরওয়ার ইমরান (৫০), গোলাম মওলা জাফরান (৫৫), খোদ্দসাপটানা যুগীটারী এলাকার আইয়ুব আলীর স্ত্রী ও গোলাম সরওয়ার ইমরান এর বোন রওশনয়ারা (৬০), দলিল লেখক আঃ মান্নান হিরা (৩৫) ও মোশাররফ হোসেন মুন ( ৩৭) গত ১৮/৬/২০২০ তারিখে উক্ত তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির দাম নির্ধারণ করে। ১৩ শতক সম্পত্তির মূল্য ৫ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা ধার্য্য হয় এবং গোলাম সরওয়ার ইমরান ও রওশনয়ারার উপস্থিতিতে ২৫/৫/২০১৮ তারিখ বায়না পত্র লিখিত হয়। উক্ত বায়না পত্র মোতবেক ২ লক্ষ ১২ হাজার টাকা আসামীরা বুঝিয়ে নেন। বাকী ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা গত ১৭/৬/২০২০ তারিখ এর মধ্যে পরিশোধের শর্তে বায়না পত্র লিখিত হয়েছিল। কিন্তু গোলাম সরওয়ার ইমরান বলেন, দলিল লেখক তাদের আত্মীয় হয়। ফলে দলিল করতে কম খরচ হবে। তাদের কথা মতো দলিল সম্পাদন করা হলে পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়। গোলাম সরওয়ার ইমরান গং প্রতারণার মাধ্যমে ওই জমি কবলা রদ-বদল দেখিয়ে নজির হোসেনের ক্রয় কৃত জমি তারা সকলেই আত্মসাত করার জন্য বিভিন্ন অপচেষ্টা করেছে। অপরদিকে ১৩ শতক ও পরে ৬ শতক জমি কবলা দেয়ার নামে প্রতারণা করায় গত ২৮/৯/২০২২ ইং তারিখে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী আদালত -১, লালমনিরহাট এ গোলাম সরওয়ার ইমরানসহ ওই ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে নজির হোসেন। নজির হোসেন আরো বলেন, আমরা প্রায় ১ বছর ধরে ওই ক্রয়কৃত জমির উপর বসত-বাড়ি নির্মান করে পরিবারসহ বসবাস করছি।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এরশাদুল হক গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply