ওবায়দুর রহমান,মাগুরা প্রতিনিধি।
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউপির নহাটা গ্রামের আলোচিত রুনা বেগম(৪০)এর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।রবিবার সকালে এক মহিলা রুনার বাড়ীর পচ্চিম পাশে এবং রুনার সাবেক স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মনির মৃর্ধার বাড়ীর পুকুরের পূর্ব পাড়ে বাঁশের ঝাড়ের সাথে উড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে লোকজনকে জানানোর পর তারা মহম্মদপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।রুনার প্রথম স্বামী ঝড়ু মৃর্ধার পক্ষের ছেলে মেয়েরা বলেন, তাদের মা রুনা বেগম গত ১৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ী থেকে বের হয়,শুক্রবার তার ছেলে মেয়েরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
তারা আরো বলেন তাদের মা মাঝে মধ্যেই সাবেক স্বামী প্রতিবেশী মনির মৃর্ধার কাছে যেত।এদিকে রুনার সাবেক স্বামী মনির মৃর্ধা জানায়,রুনার সাথে আমার ২০২০ সালের আগষ্ট মাসে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে,তালাকের পর থেকে সে আমাকে বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে বিরক্ত করত,কিন্তু আমার তার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ নেই।এ ঘটনার পর ঘটনাস্থলে মাগুরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ,মহম্মদপুর ওসি অসিত কুমার রায় সহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়।রুনা গত ০৪/১১/২২ ইং তারিখে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়,যার নাম রাখা হয়েছে জয় মৃর্ধা,রুনা তার ফেসবুকে ছেলে জয়ের ছবি পোষ্ট করে তার পিতার নাম মনির মৃর্ধা বলে দাবি করেন,এর আগে একটি ভিডিও সে বলেন তার সত্বীন মনির মৃর্ধার বড় বউ তাকে তান্ত্রিকের মাধ্যমে বান মেরে মারার চেষ্টা করেছে।রুনা ঝড়ু মৃর্ধাকে প্রথম বিয়ে করেন সে পক্ষে ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। এর পর একাধিক বিয়ে ও নহাটা ইউপির সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে মানুষের কাছে আলোচিত হয়ে ওঠে।রুনার মৃত্যুর বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ওসি(তদন্ত) মোঃবোরহান উর ইসলাম বলেন,রুনার ব্যবহারিত মোবাইল ফোন খুজে পাওয়া যায়নি,তার মৃত্যু দুই দিন আগে হয়েছে বলে মনে হচ্ছে,মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার হতে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে,তার মৃত্যুর বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে,মামলা নং ৪৬ তারিখ ২০/১১/২২ ইং,তিনি আরো বলেন,ময়নাতদন্তে যদি এটি আত্মহত্যা নয় বলে উঠে আসে তাহলে এই মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর করা হবে।
Leave a Reply