নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটি’র (৩বছর মেয়াদ)নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের জেরে অবৈধ ও পাতানো নির্বাচনের অভিযোগ উঠেছে।সদস্যদেরকে না জানিয়ে নির্বাচিত হয় কমিটি। প্রহসনমূলক নির্বাচনে এর আগেও একইপদে তিনবারে একই ব্যক্তিকে সেক্রেটারী পদসহ নানা অনিয়ম অভিযোগ তোলে ত্যাগী সক্রিয় সচেতন রেডক্রিসেন্ট নেতা ও সদস্যবৃন্দ।যারা ক্ষমতার অপব্যবহারে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে বারবারে। কথিত রেডক্রিসেন্টের কিছু অসাধু নেতা প্রভাবশালী গাংদের বিরুদ্ধে অবৈধ নির্বাচন ও এজিএম প্রসঙ্গে।
আজ শনিবার (৩ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নগরীর ষ্টেশন রোড এশিয়ান এস আর হোটেলে এ নির্বাচন আয়োজন করে কথিত অলিক নির্বাচনের নামে পাঁয়তারা করা হয়েছে বলে সদস্যদের অভিযোগের মাধ্যমে জানা গেছে।
তিন বছর মেয়াদে নির্বাচিত সিটি রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের অবৈধ নির্বাচন ও এজিএম প্রসঙ্গে অভিযোগকারীরা বলেন,কাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনে যেখানে সবাই ব্যস্ত। সেই সুযোগে জনসভার প্রস্তুতিমূলক ব্যাস্ততার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কৌশলে ব্যাপক অনিয়ম অভিযোগে নাটকীয় কায়দায় সম্পন্ন হল অবৈধ সিটি ইউনিটের নির্বাচন।
আমরা চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের আজীবণ সদস্য প্রায় ২৫০০জনের মতো। অথচ নির্বাচনের দিন সময়ে সদস্যদের মধ্যে নেই কোন সারাশব্দ,নেই নির্বাচনের আমেজ,নেই কোন পদে প্রতিযোগিতামূলক প্রতিদ্বন্দ্বী।
অথচ নিয়ম বহির্ভূতভাবে অনিয়মের জেরে নবনির্বাচিত কমিটিতে রয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান,আলমগীর পারভেজ (চেম্বার সভাপতির ছোট ভাই),সেক্রেটারি-আব্দুল জব্বার। কায্যকরি সদস্যঃ ১)এম,এ,সালাম ট্রেজারার BDRCS. (সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সিটি ইউঃ)২) মনজুর মোর্শেদ ফিরোজ,৩) এইস এম সালাউদ্দিন,৪) মহসিন উদ্দিন চৌধুরী,৫) কাজি তৌফিকুল আজম।
অভিযোগকারীরা আরো বলেন,এজিএম-এ এদের নির্বাচিত করে যেখানে ছিলনা কোন প্রতিদ্বন্দ্বী,নির্বাচন কায্যর্ক্রম পরিচালনা করতে জাতীয় সদর দফতরের প্রতিনিধি ডিডি সামছুল আলম উপস্থিত ছিলেন নামমাত্র। সিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম তিনি ঢাকার কেন্দ্রীয় কমিটির ট্রেজারার তাই নিয়ম নিয়তির তোয়াক্কা না করে এই পাতানো নির্বাচন ও এজিএম এবার সহ প্রায় ১৩ বছর উনার হোটেলের বয় বেয়ারা দিয়ে এজিএম করে আসছেন।
সোসাইটির বিধি মোতাবেক সকল আজীবণ সদস্যদেরকে পোস্টাল ডাকে চিমটি প্রেরণ করার কথা থাকলে ও তারা তা করেনি।গত ২ ডিসেম্বর মারা কয়েকজন ভাইস চেয়ারম্যান সালাম সাহেবকে ফোন করলে উনি আমাদের কারো ফোন রিসিভ করেন নি। কোন লোকাল পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেইনি। তাছাড়া বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে ফেইসবুক, টুইটার বা মেইল করে হলে ও আজীবণ সদস্যদের জানাতে পারতেন।
অভিযোগকারীরা আরো বলেন,তা-না-করে উনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনের তারিখ কে কেন্দ্র করে ৩ ডিসেম্বর পাতানো এজিএম করে জাতির কাছে প্রধান মন্ত্রীর আগমনের সময়ের অবৈধ ফায়দা নিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান সালাম ও সেক্রেটারি আবদুল জব্বার তা খুব নিন্দনীয়, গর্হিত ও সম্পুর্ণ নিয়ম বহির্ভূত একটা কলংকিত অধ্যায় রচনা করেছেন চট্টগ্রামের ইতিহাসে।
আমরা আজীবন সদস্যরা এই পাতানো নির্বাচন ও এজিএম মানিনা। এবং নির্বাচিত বলে যে সকল সদস্য হয়েছে তাদেরকে ও মানিনা। একই পদে তিনবার কমিটির সেক্রেটারি আবদুল জব্বার কিভাবে মানবতাবাদী সংগঠনে থাকে তা ও আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না যার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম, অভিযোগ থাকা সত্বেও সে কিভাবে সেক্রেটারি হয় বুঝা আসে না।
বিষয়টি জানতে সেক্রেটারি-আব্দুল জব্বার বলেন,তিনি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আছেন। মাননীয় তথ্য মন্ত্রীর কাজে খুবই ব্যাস্ত আছেন। পরে কথা বলবে বলে বলেন। কিন্তু পরে আর শতচেষ্ঠা করেও মুঠোফোনে পাওয়া যায় নি। কার্য্যকরি সদস্য এম,এ,সালাম (সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সিটি ইউঃ,(ট্রেজারার BDRCS) তাকে একাধিকবার মুঠো ফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
অবৈধ নির্বাচনে নতুন সিটি ইউনিটের বিরোদ্ধে আজীবন সদস্যবৃন্দের পক্ষে-সাহাব উদ্দিন আহমেদ(সভাপতি চকবাজার থানা আওয়ামী লীগ,চট্টগ্রাম।),মনজুর আহমেদ চৌধুরী,অভিযোগকারিঃ মোঃ রফিক,মোঃ ইকবাল হোসেন,সাগর আলি,আলি হায়দার,মোঃ তজকির প্রমুখ।
অবৈধ নির্বাচন বাতিলকরণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে
বাংলাদেশের প্রসিডেন্ট কর্তৃক মনোনীত এটিএম আব্দুল ওয়াহাব (অবঃ) সাবেক এমপি(মাগুরা)চেয়ারম্যান,বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জাতীয় সদর দফতর মাননীয় চেয়ারম্যান বরাবরে চট্টগ্রামে বসবাসকারী লাখো জনগনের এই অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। সেইসাথে নির্বাচন বাতিলসহ প্রয়োজনীয় যথাযথ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে মানবতাবাদী সংগঠনটির প্রতি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটি’র প্রতি মানবিক সুদৃষ্টি কামনা আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
Leave a Reply